প্রস্তুতি আমিনুলদের
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বর্তমান সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনকে পদত্যাগ করতে ফুটবল সমর্থক দল ও বিএনপিপন্থি ক্রীড়া সংগঠক এবং সাবেক ফুটবলাররা আলটিমেটাম দিয়েছিলেন; কিন্তু সালাউদ্দিন পদত্যাগ করেননি। আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। নির্বাচনে যদি হেরে যান, তা হলে বাফুফে থেকে বিদায় নেবেন সালাউদ্দিন। তবে সালাউদ্দিনকে নির্বাচনে হারানো কঠিন হবে। কেননা টানা চারবার সভাপতি পদে থেকে যে ভোটব্যাংক তৈরি করেছেন তিনিÑ এটিই তাকে এগিয়ে দেবে। ফিফার নিষেধাজ্ঞার ভয়ে বাফুফেতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে না সরকার। তাই নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সালাউদ্দিনকে সরাতে হবে। এ জন্য নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আমিনুল হকরা।
ক্রীড়াঙ্গনের সব স্থানেই আওয়ামী লীগের সংগঠকরা বসে রয়েছেন বলে জানান সাবেক তারকা গোলকিপার ও বিএনপি নেতা আমিনুল হক। গতকাল রাজধানীর হোটেল মিডওয়েতে জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এমন কথা বলেন। সভার মূল উদ্দেশ্যÑ ফুটবল তথা পুরো ক্রীড়াঙ্গন দলীয়করণমুক্ত করা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আগামী নির্বাচন সামনে রেখে এই সভা আয়োজন করা হয়। সভায় বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক ও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম এবং সাবেক তারকা ফুটবলার ও বিভিন্ন ডিএফএর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাফুফের নির্বাচন। ওই নির্বাচনে বড় ভূমিকা পালন করবেন ডিএফএর ভোটাররা। এখনো ডিএফএর ভোটার তালিকা হয়নি। ভোটার তালিকায় যেন যোগ্য লোক স্থান পায় সেই লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করেন ডিএফএ সদস্যরা। আমিনুল বলেন, ‘ডিএফএ’র বিভিন্ন স্থানে এখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত এমন লোক বসে আছেন। তাদের সুযোগ দেওয়া যাবে না। এদের অপসারণ করে এমন লোকদের সুযোগ দিতে হবে, যারা কোনো দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন এবং ফুটবলকে জানেন ও বোঝেন। যারা ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করছেন, তারাই যেন সুযোগ পান। এতেই ফুটবলের উন্নয়ন সম্ভব।’ বাফুফের নির্বাচন পেছানোর দাবি ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ক্রীড়া দলের। তবে নির্বাচন না পেছালেও তারা প্রস্তুত। আমিনুল বলেন, ‘আমরা বাফুফের কাছে নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন:
সূর্যর সাফল্যের মন্ত্র
আরও পড়ুন:
বিপাকে আলভেস