সূর্যর সাফল্যের মন্ত্র
একই ব্যাটার। একই রকম বল। কিন্তু ফরমেট বদল হতেই নিজেকে পাল্টে ফেলেছেন সূর্যকুমার যাদব। আইসিসি ওয়ানডে বিশ^কাপে নিজেকে হারিয়ে খোঁজা ভারতীয় ব্যাটার টি-টোয়েন্টি সংস্করণে যথারীতি চেনারূপে হাজির হলেন। পরশু রাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪২ বলে সূর্য খেললেন ৮০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ভারত তুলে নেয় ২ উইকেটের নাটুকে জয়। এই জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিক শিবির। আগামীকাল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।
বিশাখাপত্মমে টস হেরে আগে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৮ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে এক বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত (২০৯/৮)। রান তাড়ায় নেতৃত্ব দেওয়া সূর্য হয়েছেন ম্যাচ সেরা। এই সংস্করণে ভারতের অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকটা এর চেয়ে দারুণভাবে রাঙাতে পারতেন না তিনি।
সূর্য ইনিংসটা খেলেছেন চাপের মুখে। ইনিংসের শুরুতে ২২ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলেছিল ভারত। পরে ইশান কিষাণকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় শতক পার করেন সূর্য। তবে ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারেননি তিনি। বিধ্বংসী ইনিংসটা ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সাজিয়েছিলেন ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায়। চাপের মুখে অধিনায়ক হিসেবে এমন ইনিংসের মন্ত্রটা কী ছিল? ম্যাচ শেষে এমন প্রশ্নের জবাবে সূর্য বলেছেন, ‘সেটা (অধিনায়কত্বের ভার) আমি সাজঘরে রেখে এসেছি। যখনই ব্যাট করতে নামি তখন ১০ কিংবা ৪০ বল যা-ই খেলি না কেন নিজের ব্যাটিংটা উপভোগ করার চেষ্টা করি।’
আরও পড়ুন:
বিপাকে আলভেস
ঘরোয়া ক্রিকেটে আগেও নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা ছিল সূর্যর। মূল একাদশের কয়েকজন খেলোয়াড়ের বিশ্রাম ও হার্দিক পান্ডিয়ার চোটের কারণে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে অধিনায়কত্ব পান সূর্য। এই দায়িত্ব পেয়ে খুব খুশি তিনি। নিজেকে গর্বিত মনে করছেন ভারতীয় ব্যাটার, ‘এটা গর্বের ব্যাপার। খুবই গর্বের মুহূর্ত। ভারতের হয়ে খেলতে পারাটাই সৌভাগ্যের। কেউ যখন দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার কথা ভাবে তখন সেটি গর্ব করার মতো। আমি সত্যিই গর্বিত।’
ভারত অধিনায়কের ম্যাচ জয়ী ইনিংসের কারণে অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ান টপ অর্ডার ব্যাটার জস ইংলিসের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিটা।
আরও পড়ুন:
শেষটা রাঙাতে পারবেন কি ডি মারিয়া
৫০ বলে ১১টি চার ও ৮ ছক্কার ওপর দাঁড়িয়ে ১১০ রান করেন ইংলিস। তার শতকটাকে ধূসর করে দিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৬০ বলে ১১২ রানের জুটি গড়েন কিষাণ ও সূর্য। ৩৯ বলে ৫৮ রানের ইনিংসে অবদান রেখেছেন কিষাণও।
আরও পড়ুন:
মেয়েদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুরু