দেশে দেশে গণ-অভ্যুত্থান
গণ-অভ্যুত্থান, যা সাধারণত জনগণের সংগ্রাম বা আন্দোলন হিসেবে পরিচিত, ইতিহাসজুড়ে বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সূত্রপাত করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই গণ-আন্দোলনগুলো বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত হয়েছে, যেখানে জনগণ তাদের অধিকারের
জন্য সংগ্রাম করেছে এবং শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। এ নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন শামস বিশ্বাস
গণঅভ্যুত্থানের কারণ
গণঅভ্যুত্থানের মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অসমতা। যখন সমাজের একটি বড় অংশের মানুষের কাছে মৌলিক সেবা এবং সুযোগ-সুবিধা পৌঁছায় না, তখন তারা সরকার বা শাসকের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে। এ ক্ষেত্রে অসন্তোষ জমে উঠলে তা গণআন্দোলনে রূপ নেয়। এ ছাড়া রাজনৈতিক দুর্নীতি, মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং জনগণের ভোটাধিকার হরণও গণ-অভ্যুত্থানের কারণ হতে পারে।
কিছু উল্লেখযোগ্য গণ-অভ্যুত্থান
ফরাসি বিপ্লব (১৭৮৯-১৭৯৯) : ফরাসি বিপ্লব ছিল গণঅভ্যুত্থানের এক অন্যতম উদাহরণ, যা ফ্রান্সের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কাঠামোকে আমূল পরিবর্তন করে দেয়। এই বিপ্লবের পেছনে ছিল খাদ্য সংকট, আর্থিক দুরবস্থা, এবং রাজকীয় শাসনের প্রতি অসন্তোষ। বিপ্লবটি জনগণের মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনার জন্ম দেয় এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশে গণ-আন্দোলনের প্রেরণা জোগায়।
রুশ বিপ্লব (১৯১৭) : রুশ বিপ্লব ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে একটি সফল গণঅভ্যুত্থান, যা রাশিয়ায় জার শাসনের অবসান ঘটায় এবং কমিউনিস্ট সরকারের উত্থান ঘটায়। যুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, খাদ্যের অভাব এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা এই বিপ্লবের কারণ হিসেবে কাজ করে। এর ফলে সোভিয়েত ইউনিয়নের জন্ম হয়, যা পরবর্তী বিশ্ব রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ইরানের ইসলামি বিপ্লব (১৯৭৯) : ইরানের ইসলামি বিপ্লব ছিল একটি গণঅভ্যুত্থান যা দেশের রাজতন্ত্রকে উৎখাত করে এবং একটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। এই বিপ্লবের পেছনে ছিল সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং ধর্মীয় অসন্তোষ। ইরানের জনগণ শাহের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং আয়াতুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে একটি নতুন শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে।
ফিলিপাইনের ‘পিপল পাওয়ার’ বিপ্লব (১৯৮৬) : ফিলিপাইনের ‘পিপল পাওয়ার’ বিপ্লব ছিল এক শান্তিপূর্ণ গণঅভ্যুত্থান, যা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোসকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। নির্বাচনে কারচুপি এবং সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই বিপ্লবটি সফলভাবে একটি নতুন গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে।
ভেলভেট বিপ্লব, চেকোস্লোভাকিয়া (১৯৮৯) : ভেলভেট বিপ্লব ছিল চেকোস্লোভাকিয়ায় এক শান্তিপূর্ণ গণঅভ্যুত্থান, যা কমিউনিস্ট শাসনের অবসান ঘটায় এবং গণতন্ত্রের উত্থান ঘটায়। এই বিপ্লবের ফলে চেকোস্লোভাকিয়া দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়Ñ চেক প্রজাতন্ত্র এবং স্লোভাকিয়া।
আরও পড়ুন:
জলবায়ু সম্মেলনের আদ্যোপান্ত
বলিভারিয়ান বিপ্লব, ভেনিজুয়েলা (১৯৯৮) : ভেনিজুয়েলার বলিভারিয়ান বিপ্লব ছিল হুগো শ্যাভেজের নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিবর্তনের আন্দোলন, যা দেশের অর্থনৈতিক নীতি এবং সামাজিকব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনে।
গোলাপি বিপ্লব, জর্জিয়া (২০০৩) : জর্জিয়ার গোলাপি বিপ্লব ছিল এক শান্তিপূর্ণ গণঅভ্যুত্থান, যা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এডুয়ার্ড শেভার্দনাদজের পতন ঘটায়। এই বিপ্লব দেশটিতে গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করে।
অরেঞ্জ বিপ্লব, ইউক্রেন (২০০৪) : ইউক্রেনের অরেঞ্জ বিপ্লব ছিল নির্বাচন কারচুপির বিরুদ্ধে এক গণআন্দোলন, যা ইউক্রেনের জনগণকে নতুন নির্বাচন আদায়ে সফল করে। এই বিপ্লব ইউক্রেনের রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে দাঁড়ায়।
সিডার বিপ্লব, লেবানন (২০০৫) : এই বিপ্লব লেবাননের স্বাধীনতা এবং সিরিয়ার প্রভাবমুক্ত হওয়ার দাবিতে সংঘটিত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরির হত্যাকাণ্ডের পর, লেবানিজ জনগণ সিরিয়ার সামরিক বাহিনীকে দেশ থেকে বের করে দিতে বাধ্য করে।
নীল বিপ্লব, কুয়েত (২০০৫) : কুয়েতের নীল বিপ্লব ছিল রাজনৈতিক সংস্কার এবং ভোটাধিকার আদায়ের জন্য এক গণআন্দোলন। মহিলাদের ভোটাধিকার আদায়ের জন্য কুয়েতের জনগণ এই আন্দোলন শুরু করে এবং সফলভাবে তাদের দাবি আদায় করে।
পারপেল বিপ্লব, ইরাক (২০০৫) : ইরাকের পারপেল বিপ্লব ছিল প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রতীক, যেখানে ইরাকি জনগণ রক্তাক্ত সংগ্রামের পর প্রথমবারের মতো নিজেদের নেতা নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছিল। এই বিপ্লব গণতন্ত্রের জন্য ইরাকের জনগণের প্রত্যাশা এবং ত্যাগের প্রতীক ছিল।
টিউলিপ বিপ্লব, কিরগিজস্তান (২০০৫) : কিরগিজস্তানের টিউলিপ বিপ্লব ছিল এক শান্তিপূর্ণ গণঅভ্যুত্থান যা প্রেসিডেন্ট আসকার আকায়েভের পতন ঘটায়। এই বিপ্লব দেশের রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে দাঁড়ায়।
আরব বসন্ত (২০১০-২০১২) : আরব বসন্ত ছিল মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে একাধিক গণঅভ্যুত্থান ও বিক্ষোভের ধারাবাহিক ঘটনা। এই আন্দোলনগুলোর পেছনে ছিল রাজনৈতিক দমন, দুর্নীতি এবং অর্থনৈতিক সমস্যা। তিউনিসিয়া, মিশর, লিবিয়া এবং সিরিয়ার মতো দেশগুলোতে এই আন্দোলনগুলো গভীর রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটায়। কিছু দেশে সরকার পতনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের উত্থান ঘটলেও কিছু দেশে এটির ফলাফল ছিল গৃহযুদ্ধ এবং অস্থিতিশীলতা।
জুই (জেসমিন) বিপ্লব, তিউনিসিয়া (২০১১) : তিউনিসিয়ায় শুরু হওয়া জেসমিন বিপ্লব ছিল আরব বসন্তের সূচনা। এটি দীর্ঘদিনের শাসক জিন এল-আবিদিন বেন আলীর পতন ঘটায় এবং তিউনিসিয়ায় গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের পথ সুগম করে।
আরও পড়ুন:
এবারের সম্মেলনে গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়
সুদানের গণবিপ্লব (২০১৮-২০১৯) : সুদানে দীর্ঘদিনের শাসক ওমর আল-বশিরের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণবিক্ষোভ শুরু হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে, যা ২০১৯ সালে তার পতনের দিকে নিয়ে যায়। এই আন্দোলনের মূল কারণ ছিল অর্থনৈতিক সংকট, রাজনৈতিক দমন এবং দুর্নীতি। অবশেষে সেনাবাহিনী বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়।
হংকংয়ের বিক্ষোভ (২০১৯) : ২০১৯ সালে হংকংয়ে শুরু হওয়া গণঅভ্যুত্থানটি ছিল চীনের এক্সট্রাডিশন বিলের বিরুদ্ধে এক বৃহত্তম গণবিক্ষোভ। হংকংয়ের জনগণ বিলটি বাতিলের দাবি জানায় এবং এটি তাদের স্বায়ত্তশাসনের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয়। এই বিক্ষোভটি চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি অসন্তোষ এবং হংকংয়ের স্বাধীনতার পক্ষে ছিল।
বেলারুশের বিক্ষোভ (২০২০) : ২০২০ সালে বেলারুশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গণবিক্ষোভ শুরু হয়, যেখানে জনগণ প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলে। বিক্ষোভকারীরা ন্যায়বিচার ও নতুন নির্বাচন দাবি করে, যদিও সরকার কঠোরভাবে এই আন্দোলন দমন করে।
মিয়ানমারের অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলন (২০২১) : ২০২১ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে এবং দেশজুড়ে সামরিক শাসন জারি করে। এর প্রতিবাদে মিয়ানমারের জনগণ ব্যাপক গণবিক্ষোভ শুরু করে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আন্দোলনটি এখনো চলছে এবং এটি মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে।
শ্রীলংকার বিক্ষোভ (২০২২) : ২০২২ সালে শ্রীলংকার অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ব্যাপক গণবিক্ষোভ শুরু হয়। খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধের অভাব, মুদ্রাস্ফীতি, এবং সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসে। এই আন্দোলনের ফলে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
ইরানের নারীবাদী আন্দোলন (২০২২-২০২৩) : ২০২২ সালে ইরানে মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এক নারীবাদী আন্দোলন শুরু হয়, যা দ্রুত দেশের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। নারীদের অধিকার এবং বাধ্যতামূলক হিজাব পরিধানের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন ইরানে প্রগতি ও মানবাধিকারের জন্য একটি নতুন অধ্যায় শুরু করেছে।
বৈষম্যবিরোধী গণ-অভ্যুত্থান
গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ব্যাপক জনবিস্ফোরণ দেখা দেয়। আপামর জনতার বিক্ষোভের মুখে শেষ হয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের। ঐতিহাসিক এ ঘটনাকে অনেকে ছাত্র-জনতার ‘বিপ্লব’ মনে করলেও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও রাজনীতি বিশ্লেষকরা একে সংজ্ঞায়িত করেছেন অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ‘গণঅভ্যুত্থান’ হিসেবে। ২০২৪-এর ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং দেশ ত্যাগ করেন। এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁক। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবির ওপর গড়ে ওঠা আন্দোলন অতিদ্রুত একটি ব্যাপক ও তীব্র গণআন্দোলনের রূপ নেয়। নানা কারণেই জনগণের মধ্যে যে অসন্তোষ ধূমায়িত ছিল এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তা প্রকাশিত হয়। শুরু হয় বৈষম্যবিরোধী রাষ্ট্রগঠনের জন্য ছাত্র-জনতার সম্মিলিত সংস্কারের মাধ্যমে দেশ গঠনের যাত্রা।
গণ-অভ্যুত্থানের প্রভাব
আরও পড়ুন:
তাপমাত্রা যখন সর্বনিম্ন!
গণঅভ্যুত্থানের ফলাফল অনেক ধরনের হতে পারে, যার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হলো রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিবর্তন। কিছু ক্ষেত্রে, গণঅভ্যুত্থান সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে, এটি রক্তপাত এবং গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যায়। একটি গণঅভ্যুত্থানের প্রভাব শুধু ওই দেশেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং এটি আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, আরব বসন্তের ঘটনা মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার রাজনৈতিক মানচিত্রকে পুনর্গঠিত করেছে। অন্যদিকে ফরাসি বিপ্লব এবং রুশ বিপ্লবের প্রভাব ইউরোপের রাজনৈতিক ইতিহাসে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে।
গণঅভ্যুত্থান ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ
গণ-অভ্যুত্থানের ভবিষ্যৎ কী? এটি একটি জটিল প্রশ্ন, কারণ বর্তমান বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বৃদ্ধি এবং তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতি গণ-আন্দোলনের গতিপ্রকৃতিকে পরিবর্তন করেছে। আধুনিক গণ-অভ্যুত্থানগুলো প্রায়ই সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে সংগঠিত হয়, যা দ্রুতগতিতে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে সরকারের জন্য এ ধরনের আন্দোলন মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে গণঅভ্যুত্থান কেবল শাসক পরিবর্তনের জন্য নয়, বরং সমাজের গভীর পরিবর্তনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। এটি জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন এবং একটি সমাজের গণতান্ত্রিক চেতনার প্রকাশ।
উপসংহার
গণ-অভ্যুত্থান একটি জটিল এবং বহুমুখী প্রক্রিয়া, যা একটি দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সামাজিক কাঠামোর ওপর নির্ভর করে। তবে একটি সাধারণ সূত্র হলো, যখন জনগণ তাদের অধিকারের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে শাসকের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তখনই গণ-অভ্যুত্থানের জন্ম হয়। ইতিহাসের পাতায় এই আন্দোলনগুলো বারবার প্রমাণ করেছে যে, জনগণের শক্তি অপরিসীম এবং এটি সমাজের পরিবর্তনের প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে।