চা বিরতির আগে রেকর্ডের ডালি সাজানো মিরাজের বিদায়
২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন ৫০ রানের নিচে অলআউট হওয়ার শঙ্কায়, তখন মাঠে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পাকিস্তান সফরজুড়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই খেলোয়াড় আজও দেখালেন ব্যাট হাতে কারিশমা। লিটনের সঙ্গে গড়েছেন রেকর্ড ১৬৫ রানের জুটি। তবে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষমেশ ফিরতে হলো মিরাজকে।
দলীয় ১৯১ রানের মাথায় পাকিস্তানের ডানহাতি পেসার খুররম শাহজাদের বলে তার হাতেই ক্যাচ উঠিয়ে দেন মিরাজ। শেষ হয় তার ধ্রুপদী ৭৮ রানের ইনিংসের। ১২৪ বলে ১২টি চার ও ১ ছক্কায় এই ইনিংস সাজান মিরাজ।
ক্যারিয়ারে এটি মিরাজের অষ্টম ফিফটি। এছাড়া টানা তিন ইনিংসেও ফিফটির দেখা পেলেন এই অলরাউন্ডার। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৮১ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের একমাত্র ইনিংসে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
৩০ রানের আগে ৬ উইকেট পড়ার পর আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস খেলা বিশ্বের চতুর্থ ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ। এছাড়া ক্যারিয়ারে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার একই টেস্টে ফিফটি ও ৫ উইকেটের দেখা পেয়েছেন মিরাজ।
লিটন-মিরাজের ১৬৫ রানের জুটিতে একটি বিশ্বরেকর্ড হয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটে ৫০ রানের আগে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর এটিই প্রথম দেড় শ ছাড়ানো জুটি।
সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান তুলে চা বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। মিরাজ আউট হলেও ৮৩ রানে অপরাজিত আছেন লিটন। দলের সঙ্গে আর দুই রান যোগ হতে বিদায় নেন তাসকিন আহমেদও। এখন লিটনকে সঙ্গ দিচ্ছেন হাসান মাহমুদ। পাকিস্তানের থেকে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ এখনো ৮১ রানে পিছিয়ে।
আজ রবিবার রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলায় মুখোমুখি হয় পাকিস্তান-বাংলাদেশ। গতকাল পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয়েছিল। পরে বাংলাদেশ বিনা উইকেটে ১০ রানে মাঠ ছাড়ে। এদিন দলীয় ষষ্ঠ ওভারে ব্যক্তিগত ১ রানে থাকা জাকির হাসানকে আবরার আহমেদের ক্যাচে ফেরান খুররম শাহজাদ। এরপর নিজের পরের ওভারে জোড়া আঘাত করেন এই পেসার। ১০ রানে থাকা আরেক ওপেনার সাদমানকে বোল্ড করার পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকেও বোল্ড করেন।
দৃশ্যপটে এরপর মীর হামজার আগমন। মুমিনুল হককে মোহাম্মদ আলীর সহজ ক্যাচে ফেরান। আর প্রথম টেস্টে ম্যাচসেরা মুশফিকুর রহিমকে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচে মাঠ ছাড়া করান। খুররম পরে সাকিব আল হাসানকে এলবির ফাঁদে ফেলেন। মাত্র ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এরপরই মহাকাব্যিক জুটি বাঁধেন লিটন ও মিরাজ।