ফারাক্কার সব গেট খোলা নিয়ে যা বলছে ভারত
ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে পানির চাপ সামলাতে ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি গেটই খুলে দিয়েছে দেশটি। তবে পানি ছাড়ার বিষয়টি আগেই বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। এ ছাড়া এ বিষয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলেও দাবি তাদের।
আজ সোমবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখেছি। গেট খোলায় স্বাভাবিক গতিপথে নদীর ভাটিতে গঙ্গা/পদ্মায় ১১ লাখ কিউসেক পানি প্রবাহিত হবে ‘
তিনি বলেন, গঙ্গা নদীর অববাহিকার ক্যাচমেন্ট এলাকার উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই পানি প্রবাহিত হওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। এটা বুঝতে হবে যে, ফারাক্কা কেবল একটি ব্যারেজ, ড্যাম নয়। পানির স্তর যখনই ব্যারেজের স্তরে পৌঁছায়, তখন যে পরিমাণ পানির প্রবাহই হোক না কেন, তা বেরিয়ে যায়। এটা গঙ্গা/পদ্মা নদীর ওপর গেট বসিয়ে বানানো একটি কাঠামোমাত্র; যা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে মূল নদী থেকে ৪০ হাজার কিউসেক পানি সরিয়ে ফারাক্কা ক্যানেলে নেওয়া যায়। আবার একই সঙ্গে বাংলাদেশের দিকে পানিপ্রবাহের ভারসাম্যও ঠিক থাকে।’
আরও পড়ুন:
‘হামাসকে ধ্বংস করা যাবে না’
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ার বিষয়ে প্রোটোকল অনুযায়ী বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত ও সময়মত তথ্য শেয়ার করা হয়। এবারও গেট খুলে দেওয়ার বিষয়ে সেটি করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করতে আমরা ভুয়া ভিডিও, গুজব এবং ভয়ভীতি ছড়াতে দেখছি। তবে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে দৃঢ়ভাবে এই ধরনের গুজব প্রতিহত করা উচিত।’
ফারাক্কা বাঁধের খোলার বিষয়ে আজ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইট্টিনের খবরে বলা হয়, ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় পানি ছাড়ার পরিমাণও বাড়ছে। গঙ্গার পানির স্তর বৃদ্ধি হতেই বাঁধটি থেকে ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
