২৮ মাস পর ফিরেই সাদমানের ফিফটি, শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের আগে বাংলাদেশ দলের ওপেনার সাদমান ইসলাম সবশেষ খেলেছিলেন ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল। রাওয়ালপিন্ডিতে খেলার কথাই ছিল না তার। সুযোগ মেলে আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় কুঁচকির চোটে পড়ায়। হঠাৎ পাওয়া এই সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগালেন ২৮ মাস পর একাদশে ঢোকা সাদমান। দুর্দান্ত এক ফিফটি হাঁকিয়েছেন এই ওপেনার।
আজ রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনে ২ উইকেটে ১৩৪ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। একপাশে সাদমান ৫৩ রানে অপরাজিত। আরেক প্রান্তে চারে নামা মুমিনুল হক অপরাজিত আছেন ৪৫ রানে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে ৩১৪ রানে।
আগের দিনে বিনা উইকেটে ২৭ রান নিয়ে আজ খেলতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে মোট ৩৬ ওভার খেলা হয়। এই সময়ে স্কোরবোর্ডে ১০৭ রান তোলে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। দিনের শুরুতেই ফেরেন জাকির হাসান। পেসার নাসিম শাহর বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ৫৮ বল খেলে ১২ রান করেন এই ওপেনার। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তকে নিয়ে সেই বিপদ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন সাদমান। তবে সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি শান্ত। খুররম শেহজাদের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক (১৬)।
৫৩ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তৃতীয় উইকেটে। সাদমানের সঙ্গে এই সময়ে জুটি বাঁধেন মুমিনুল। ব্যাট হাতে সাদমানের চেয়েও দৃঢ়তা দেখিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। একটা সময় সাদমানের রান যখন ৪৮, তখন মুমিনুলের সংগ্রহ মাত্র ২১ রান। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে সেখানে ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৪৫-এ নিয়ে যান মুমিনুল। এই সময়ে মাত্র ৫ রান আসে সাদমানের ব্যাটে। ফিফটির আগে বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকেন এই ওপেনার।
এদিকে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিনে বেশিরভাগ খেলাই ভেস্তে যায় বৃষ্টির কারণে। ওই দিন ৪ উইকেটে ১৫৮ রান তুলে দিন শেষ করে পাকিস্তান। দ্বিতীয় দিনে আরও ভালো ব্যাটিং করে স্বাগতিকরা। শেষ বিকেলে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করানোর জন্য ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলেই ইনিংস ঘোষণা করে তারা। তবে কোনো উইকেট না হারিয়েই দ্বিতীয় দিন শেষ করে টাইগাররা।