যুব অলিম্পিকেও ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত করতে চায় আইসিসি

স্পোর্টস ডেস্ক
১৮ আগস্ট ২০২৪, ১৩:২২
শেয়ার :
যুব অলিম্পিকেও ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত করতে চায় আইসিসি

২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক গেমসের হাত ধরে ক্রিকেট অলিম্পিকে ফিরতে যাচ্ছে। তবে এখানেই থেমে থাকতে চায় না আইসিসি। এবার তারা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে আলোচনায় বসার পরিকল্পনা করেছে। যেখানে যুব অলিম্পিক গেমসেও ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়

মূলত ক্রিকেটকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে কোনো কমতি করতে চায় না বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। তাদের সেই উদ্যোগের ফলও তারা পেয়েছেন। এমনকি আইওসির সঙ্গে এই বিষয়ে তাদের আলাপ আলোচনা করতে কোনো অসুবিধা নেই তাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন তারা।

২০৩০ সালের যুব অলিম্পিক গেমস আয়োজন করতে চায় ভারত। পাশাপাশি ২০৩৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমস এবং প্যারালিম্পিকেরও আয়োজন করতে ঝাঁপাবে ভারত। এই পরিস্থিতিকেই কাজে লাগাতে চাইছে আইসিসি। ভারতে ক্রিকেট নিয়ে যে উৎসাহ উদ্দীপনা রয়েছে তা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার অন্যতম বড় মঞ্চ এই অলিম্পিক গেমস হতে পারে।

একটি ইমেইলের মধ্যে দিয়ে বিজয় গোপালান আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার ডেভেলপমেন্ট উইলিয়াম গ্লেনরাইটকে এই বিষয়ে মতামত জানান। গ্লেনের এই ভাবনা পছন্দ হয়েছে। তিনি এই ভাবনা নিয়ে কাজ করতে উদ্যোগী বলেই জানান হয়েছে।

এই ইমেইলটি পেয়েছেন আইসিসির সিইও জিওফ্রে অ্যালারডাইস, ওয়াসিম খান, ক্লেইরি ফারলং এবং ক্রিস টেটলির কাছে। অর্থাৎ আইসিসির সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডার বিষয়টি জানেন। গোপালান তার ইমেলে লিখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং ২০৩০ যুব অলিম্পিক গেমস, ২০৩৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমস এবং প্যারালিম্পিকের আয়োজনের কথা বলেছেন।

বিষয়টিকে আইসিসিরও গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। লালকেল্লাতে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণেও ২০৩৬ সালের অলিম্পিক গেমস আয়োজনের বিষয়ে ভারতের বিড করার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। ওই ইমেলে বলা হয়েছে বিশ্বের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ খেলা যেমন রাগবি সেভেন্সও জায়গা পেয়েছে যুব অলিম্পিক গেমসে। যুব অলিম্পিক গেমসে যদি ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করা যায় তাহলে বিভিন্ন দেশের গ্রাসরুট পর্যায়ে ক্রিকেটের সার্বিক উন্নতি করা সম্ভব হবে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে সাধারণত যুব অলিম্পিক গেমসের প্রতিযোগীরা ১৫-১৮ বছর বয়সি হয়ে থাকেন। ফলে এখানে প্রত্যেকটি ক্রিকেট খেলিয়ে দেশকে খেলাতে হবে তাদের অনূর্ধ্ব দলকে। ফলে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ যেমন বাড়বে তেমন ক্রিকেটের প্রসারেও তা সহায়ক হবে। ইমেলে আরও বলা হয়েছে আইওসির সঙ্গে সম্প্রতি আইসিসির সম্পর্ক খুব ভালো। আইওসি ক্রিকেট ব্র্যান্ডকে মান্যতা দিয়েছে যে তা অলিম্পিক ব্র্যান্ডকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ফলে অলিম্পিক গেমসে বিশেষ করে যুব অলিম্পিক গেমসে ক্রিকেটকে খেলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করাটা যে খুব একটা কঠিন কাজ হবে না তা বলা হয়েছে এই ইমেইলে।