পতনের দিনেও নিহত ১১৭
ঢাকাসহ সারাদেশে আহত ২ হাজারেরও বেশি
সরকার পদত্যাগের একদফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কর্মসূচি ঘিরে উত্তাল সারাদেশ। গতকাল সোমবার ছিল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি। এ কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতা-গুলিতে এদিন রাজধানীতে ৫০ জনসহ দেশের বিভিন্ন স্থান মিলিয়ে ১১৭ জন নিহত হয়েছেন। এর
আগের দিন অর্থাৎ, রবিবার শিক্ষার্থীদের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীসহ সারাদেশে সহিংসতায় পুলিশসহ নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৭-এ।
গতকাল রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আহতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর আগের দিন আহত হন তিন হাজারেরও বেশি মানুষ। সব মিলিয়ে দুদিনে আহতের সংখ্যা পাঁচ সহস্রাধিক। তাদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কেউ কেউ গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল দুপুরে সরকারপ্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। অথচ এর কয়েক ঘণ্টা আগেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসার পথে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় র্যাব-পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে রাজধানীর উত্তরা, বাড্ডা, রামপুরা, যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, পল্লবীসহ বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশতাধিক মানুষ নিহতের তথ্য ছড়ালেও ৩৫ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা-২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত নিহতদের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। আহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী, পুলিশ, সাংবাদিক, আনসার সদস্য ও পথচারীরাও রয়েছেন। ঢামেক হাসপাতাল, মিটফোর্ড, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, কুর্মিটোলাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন গুরুতর আহত অন্তত দুই শতাধিক শিশু-নারী ও পুরুষ। গতকাল রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আহত অর্ধশত মানুষকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ। তারা এখন কাতরাচ্ছেন হাসপাতালের বিছানায়। ওয়ার্ডগুলোর বাতাস ভারী হয়ে আছে আহতদের আর্তনাদে।
নিহতরা হলেনÑ যাত্রবাড়ী এলাকায় রাসেল (২৮), সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন (২৪), তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান (২২), সাইফুল ইসলাম তন্ময় (২২), প্রবাসী
আবু ইসহাক (৫২) ও আজমত মিয়া (৪০) এবং ঢাকা মেডিক্যাল নতুন ভবনের সামনে যমুনা ব্যাংকের স্টাফ মানিক মিয়াসহ (২৭) ৩৫ জন।
জানা গেছে, যাত্রাবাড়ীর কাজলায় গতকাল সকাল ১০টার দিকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাসেল, আব্দুর রহমান ও রাকিব হোসেন নিহত হন।
পথচারী সুমনসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ রাসেলকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সুমন বলেন, কাজলা ব্রিজের নিচে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন রাসেল। দুপুর দেড়টার দিকে গুলিবিদ্ধ আরও দুজনকে ঢামেকে আনলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, হাসপাতালে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া শতাধিক আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা সবাই গুলিবিদ্ধ।
ব্যুরো প্রধান, নিজস্ব প্রতিবেদক ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরÑ
সাভার (ঢাকা) : শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে পুলিশের উপর্যুপরি গুলিতে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত মারা যান নারীসহ ১৯ জন। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীসহ দেড় শতাধিক। নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। গতকাল বিকালে সাভার থানার দিকে অগ্রসরমান হাজারো ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ উপর্যুপরি গুলি ছোড়ায় নিহত হওয়ার জেরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে আশুলিয়া থানার বাইপাইল থেকে সাভার থানা রোড পর্যন্ত। এদিকে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আলম সমর, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, কেন্দ্র্রীয় যুবলীগের প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু আহমেদ নাসিম পাভেল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, সহসভাপতি নিজাম উদ্দিন আহমেদ টিপুর বাড়িতে এদিন অগ্নিসংযোগ করা হয়।
যশোর : জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি সাবেক এমপি শাহিন চাকলাদারের ফাইভস্টার হোটেল জাবিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন দেড় শতাধিক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছিল। এ ছাড়া শাহিন চাকলাদারের শহরের কাঁঠালতলাস্থ অফিস ও বাড়িতেও ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়। এমপি কাজী নাবিল আহমেদের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের প্রতিষ্ঠান আফিল অ্যাগ্রোতেও। লুটপাট হয়েছে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথের নাথ কম্পিউটার ও অপর একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। শহরের চার খাম্বার মোড়ে শেখ রাসেলের ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। কেশবপুর প্রতিনিধি জানান, স্থানীয় জামায়াত নেতা মাওলানা মুজিবুল ইসলাম ও মাহমুদের নেতৃত্বে তার ভালুকঘর গ্রামের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন:
আকতার পারভেজ সর্বোচ্চ ভোটে সিএসই পরিচালক
হবিগঞ্জ : বানিয়াচংয়ে পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতরা হলেনÑ যাত্রাপাশার ছানু মিয়ার ছেলে হাসান (১২), মাইজের মহল্লার নূর মিয়ার ছেলে আশরাফুল (১৭), পাড়াগাঁয়ের শমশের মিয়ার ছেলে মোজাক্কির (৪০), কামালকানির নয়ন (১৮), জাতকর্ন পাড়ার আবদুর রউফের ছেলে তোফাজ্জল (১৮) ও পূর্বঘর গ্রামের ছাদিকুর (৩০)। গতকাল সকালে ছাত্র-জনতা এলআর হাইস্কুল থেকে মিছিল বের করে। মিছিলটি থানার কাছে পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ জনতাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান আরো তিনজন। আহতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। এর জেরে ছাত্র-জনতা থানায় আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীকে নিয়ে জেলা প্রশাসক জিলুফা সুলতানা বানিয়াচং থানা পরিদর্শনে যান।
গাজীপুর : শ্রীপুরে বিজিবির গুলিতে ছয়জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মাওনা উড়াল সেতুর উত্তর পাশে বাংলাদেশ পেট্রল পাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেনÑ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার মৃত আসাদের ছেলে সিফাতউল্লাহ (২২), শ্রীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দারোগারচালা গ্রামের শুক্কুর আলমের ছেলে শরীর আহমেদ (২০), ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার তাজুল ইসলামের ছেলে কাওসার (২৮), ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার আব্দুল হাইয়ের ছেলে জুয়েল মৃধা (৩০)। এ ছাড়া নিহত আরও দুইজনের পরিচয় জানা যায়নি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে বিজিবির প্রায় ৮০ সদস্য ঢাকা যাচ্ছিলেন। আন্দোলনকারীরা তাদের ওপর হামলা চালান। জানা গেছে, আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরা গুলি ছুড়েন। হামলাকারীরা বিজিবি সদস্যদের বহনকারী তিনটি গাড়িতে আগুন দেয়।
এদিকে কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমিতে ও বাসন থানায় গতকাল বিকালে হামলা ভাঙুর ও অগ্নিসংযোগ করতে গিয়ে গুলিতে তিন হামলাকারী নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। নিহতদের মধ্যে কালিয়াকৈর উপজেলার রাখালিয়াচালা এলাকার বেলায়েত হোসেনের ছেলে এলিম হোসেন ছাড়া অন্যদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরা : আশাশুনিতে বিক্ষুব্ধ জনতা কুপিয়ে প্রতাপনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ জাকির হোসেনকে হত্যা করে। এর আগে জাকির হোসেনের ছোড়া গুলিতে দুজন নিহত ও কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। শেখ জাকির হোসেন আশাশুনি উপজেলার নাকনা গ্রামের মৃত আমিনুর রহমানের ছেলে।
শিবালয় (মানিকগঞ্জ) : শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়ায় নৌ-পুলিশের গুলিতে এক কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হন। গতকাল পাটুরিয়া ঘাটে আন্দোলনকারী ও নৌ-পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান। তার নাম রফিকুল ইসলাম চঞ্চল (২১)। তিনি উপজেলার রুপসা গ্রামের রহিজ উদ্দিনের ছেলে এবং উপজেলার মহাদেবপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া মডেল থানায় বিকাল ৩টায় হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। ব্যাপক ভাঙচুরের পর থানায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলাকালে পুলিশের গুলিতে এক শিশুসহ চারজন নিহত হন। নিহতরা হলেনÑ কুষ্টিয়া হরিপুরের কপিল উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৯), বাবলু মিস্ত্রি (৫২), শালদাহ গ্রামের বাবু (২৮) ও ৮ বছরের এক শিশু। তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র বলেছে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ১০। যদিও তা নিশ্চিত করা যায়নি। কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মাহফুজুল হক চৌধুরী জানান, বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের কয়েক হাজার কর্মী থানায় হামলা চালায়। আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ এমপির কুষ্টিয়ার বাসভবনে ব্যাপক লুটপাট চালায় ও অগ্নিসংযোগ করে।
ধামরাই : উপজেলা পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন ও অফিস এবং ধামরাই পৌরসভায় দুপুর পৌনে ১টার দিকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি, চারটি প্রাইভেট কার, ১৬টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি চালালে ২৫ জন আহত হন। তাদের মধ্যে দুইজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। বিকালে ধামরাই থানায় আগুন দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় থানা থেকে পুলিশ কর্মকর্তারা পালিয়ে গেলে থানার সামনে বিভিন্ন যানবাহন ও ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আক্রান্ত একাধিক পুলিশ সদস্য জানান, সেনাবাহিনীর সাহায্য চাওয়া হলেও না পেয়ে এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে একটি ট্রাকে করে পালিয়ে যান সাভার মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা।
মানিকগঞ্জ : গত রবিবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষে আহত জেলা আওয়ামী লীগ নেতা তায়েবুর রহমান ওরফে টিপু ওই দিন রাতে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
সিলেট : গোলাপগঞ্জে গত রবিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ আরেকজন গতকাল মারা যান। তার নাম হাসান আহমদ (২০)। তিনি সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। নিহতের বাবার নাম সরই মিয়া। এর আগে পাঁচজন নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল।
নারায়ণগঞ্জ : চাষাড়ায় গতকাল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড ও শিমরাইল এলাকা অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।
রাজবাড়ী : লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে যোগ দিতে গতকাল সকাল থেকে সদরের গোয়ালন্দ মোড়ে জমায়েত হন আন্দোলনকারীরা। তারা ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন সেøাগান দেন। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে পুলিশ গুলি করলে আন্দোলনকারী সিনতি, লাবনী ও শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মোহাম্মদ ফরিদ, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবু, লাবু, রুবেল মন্ডল, মজিবর গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া উত্তেজিত জনতা রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর বাড়ি, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, কাজী ইরাদত আলীর মালিকানাধীন গোল্ডেশিয়া জুট মিলস, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান মিয়া সোহেলের বাড়িতে আগুন দেয়।
আরও পড়ুন:
বৃহত্তম হিমশৈল
ঝিনাইদহ : সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরনকে পুড়িয়ে এবং তার গাড়িচালক আক্তার হোসেনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হিরনের বাসায় আরও অজ্ঞাত দুজনের লাশ পড়ে আছে বলে জানা গেছে। গতকাল বিকালে হিরনের স্টেডিয়ামপাড়ার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুর : কোতোয়ালি থানায় গতকাল বিকাল ৫টার দিকে হামলা চালালে অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যরা টিয়ারশেল ও গুলি বর্ষণ করেন। এ সময় একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। নিহতের নাম মো. সামচু মোল্যা (৬৫)। তার পিতার নাম মোতালেব মোল্যা।
রাজশাহী : রাজশাহীতে বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী নিহত ও কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ৪০ জনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩০ জনই গুলিবিদ্ধ। নিহত সবুজ বরেন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র।
চট্টগ্রাম : শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ও দামপাড়া পুলিশ লাইন আক্রান্ত হয়। আগুন দেওয়া হয় একাধিক থানায়। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের আন্দরকিল্লা বাসভবনেও হামলার ঘটনা ঘটে। নগরীর বিসিক শিল্প এলাকায় সংসদ সদস্য আবদুচ ছালামের মালিকানাধীন একটি গুদামে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার বিকাল থেকে এসব ঘটনা ঘটে। আগুন দেওয়া থানাগুলো হলোÑ কোতোয়ালি, পাহাড়তলী ও পতেঙ্গা। এ ছাড়া ডবলমুরিং থানায়ও ভাঙচুর করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় গতকাল দুপুরে হামলা ও ভাঙচুর চালায় আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাসভবন, তার শ্যালক ডা. নৌশাদ খানের মালিকানাধীন ফিরোজা ক্লিনিক ও বাসভবন, ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি বিপ্লব সরকারের বাড়ি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বহুতল বাসভবন এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোল্লা সুমনের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
বাবুগঞ্জ (বরিশাল) : উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গতকাল বিকালে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সেখানে বক্তব্য দেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মো. রফিকুল ইসলাম।
শেরপুর : শেরপুরে গত রবিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫-এ। তারা হলেনÑ আহ্?ছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শহরের বাগরাকসা এলাকার তুষার, আইটি উদ্যোক্তা সদর উপজেলার চৈতনখিলা এলাকার মাহবুব আলম, ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুড়া এলাকার সৌরভ, শ্রীবরদী উপজেলার রূপারপাড়া এলাকার সবুজ হাসান ও জেলা সদরের মিম আক্তার। তাদের মধ্যে যৌথবাহিনীর টহল চলাকালে গাড়িচাপায় দুজন ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজন নিহত হন। এ সংবাদে গতকাল দুপুরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে শহরের গোপালবাড়ী এলাকায় জেলা প্রশাসকের (ডিসি) বাসভবনের প্রধান ফটক ভাঙচুর করেন তারা। পরে ডিসির বাসভবন সংলগ্ন অফিসার্স কোয়ার্টার এবং রঘুনাথ বাজার এলাকায় শেরপুর সদর থানা ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীরা শহরের মাধবপুর এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক হুইপ মো. আতিউর রহমানের বাসভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভবনটিতে সোনালী ব্যাংকের শেরপুর শাখা, আঞ্চলিক কার্যালয়, আয়কর কার্যালয় ও অগ্রণী ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় অবস্থিত। সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হায়দার আলীর চৈতনখিলা এলাকার বাসভবনেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সাঁথিয়া (পাবনা) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের সংবাদে সাঁথিয়ায় আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিল থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় অগ্নিসংযোগ এবং ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর ছেলে আশিফ শামস রঞ্জনের দখল করা সরকারি খামার থেকে কয়েকটি গরু লুট করা হয়। বিকালে সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর আলম বাচ্চুর বাড়ি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন হায়দার সানের বাড়ি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হক ছানার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
নাটোর : নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাসভবন জান্নাতি প্যালেসে বিকাল ৪টার দিকে আগুন দেওয়া হয়। বিকাল ৫টার দিকেও আগুন জ্বলছিল।
কটিয়াদি : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি মডেল থানায় আক্রমণ চালায় হাজারো ছাত্র-জনতা। গতকাল বিকাল ৫টার দিকে শুরু হয় এ হামলা।
মৌলভীবাজার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে আনন্দ মিছিল বের করে সাধারণ মানুষ। এ সময় কিছুসংখ্যক লোক থানার দিকে এগিয়ে গেলে পুলিশ রাবার বুলেট ও গুলি ছুড়ে। এতে শিশুসহ শতাধিক মানুষ আহত হন। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের মৌলভীবাজার সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) : কেরানীগঞ্জের কদমতলী সড়কে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিছু লোক মিলে আওয়ামী লীগের কয়েকটি কার্যালয়ে আগুন দেয়। রাত ৮টার দিকে গোলচত্বর এলাকায় একটি পাজেরো গাড়িতে আগুন দেয় তারা। এর আগে গোলচত্বরে টিভি ক্লাবে ভাঙচুর ও আসবাবপত্র পোড়ানো হয়।
খোকসা (কুষ্টিয়া) : সরকার পতনের খবর পেয়ে দুর্বৃত্তরা গতকাল বিকালে খোকসা থানা চত্বরে চারটি গাড়িতে আগুন এবং কিছু মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে খোকসা আওয়ামী লীগের অফিস, অনন্যা ফিলিং স্টেশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের ইটভাটার অফিস, খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আক্তারের অফিস, দিলীপ বিশ্বাস ষষ্ঠীর গুড়ের দোজালি, উপজেলা চেয়ারম্যান আল মাসুম মোর্শেদ শান্তর অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
বরিশাল : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশত্যাগে খবরে বিজয় উল্লাসের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় জনতা। তারা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, সিটি করপোরেশনের এনেক্স ভবন, নগর ভবন, সার্কিট হাউস, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর বাড়িতে আগুন দেয়। ভাঙচুর চালানো হয় বর্তমান মেয়র আবুল খায়ের খোকন আবদুল্লাহর বাড়িতেও। অগ্নিসংযোগ করা হয় বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের কার্যালয়ে। ভেঙে ফেলা হয় বরিশাল প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি।
মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জ শহরে গতকাল বিকালে সদর থানা ও সদর ফাঁড়িতে আগুন ও অস্ত্র লুট করে ক্ষুব্ধ জনতা। পরে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লবের বাসভবনে আগুন ও আসবাবপত্র লুটপাট করা হয়। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের বাসভবন ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাসভবনে আগুন দেওয়া হয়।
মাগুরা : শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের রাজনৈতিক কার্যালয় ভাঙচুর করে বিএনপি-জামায়াতের কর্মী সমর্থক ও উত্তেজিত ছাত্র-জনতা। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখরের বাসভবন, নতুন বাজারে অবস্থিত মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. বীরেন শিকদারের তুন বাজারের বাসভবন ও তার প্যাথলজি সেন্টার, জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা জাহিদুল আলমের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। অন্যদিকে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রানা আমির ওসমানের ব্যসায়িক প্রতিষ্ঠান পিয়ারলেস মেডিক্যাল হাসপাতাল, শহরের ভায়নার মোড়, ঢাকা রোড, নতুন বাজারের বেশ কিছু ব্যবসায়ীর গুদামে লুট করা হয়। পাশাপাশি জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বাড়িতেও ভাঙচুর, হামলার খবর পাওয়া গেছে।
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : রূপগঞ্জের এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর টায়ার ফ্যাক্টরি, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। বিকাল ৩টা থেকে এসব ঘটনা ঘটে।
রাঙামাটি : শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে পালানোর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরের বনরূপা, তবলছড়ি, রিজার্ভ, কলেজ গেট, ভেদভেদীসহ শহরজুড়ে আনন্দ মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। মিছিল থেকে শহরের মূল কেন্দ্র বনরূপা এলাকায় পুলিশ বক্স ভাঙচুর ও রাঙামাটি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান চৌধুরীর মালিকানাধীন আবাসিক হোটেল নিডস হিল ভিউতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
কুমিল্লা : কুমিল্লা সদর-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের বাস ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে জনতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও সেনাপ্রধানের ভাষণের পর এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া়ন্ত্রণাধীন কুমিল্লার এলিট প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা ক্লাবেও হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ক্লাবের মাঠে থাকা তিনটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
শরীয়তপুর : শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর বাসভবন ও শহরের চৌরঙ্গীর মোড়স্থ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। গতকাল বিকালে শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণার পরপরই এ ঘটনা ঘটায়। এছাড়া শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট পারভেজ রহমানের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।