শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে সিএসই

শাহিন আলম শাওন
২৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে সিএসই

তথ্যপ্রযুক্তির জনপ্রিয়তা, কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা, সৃজনশীল উদ্ভাবন, মানসম্মত বেতন, গুগল-মাইক্রোসফটসহ বিশ্বের জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং। অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের অন্যতম আগ্রহের শীর্ষে পরিণত হয়ে উঠছে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ। সিএসই বিভাগটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ও শিক্ষার্থীদের সিএসই ডিগ্রি প্রদান করছে। বর্তমানে সিএসই বিভাগের অবস্থা, পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার সম্পর্কে তুলে ধরা হলো আজকের আয়োজনে।

যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন

বর্তমান যুগে কম্পিউটার সায়েন্স একটি চাহিদাসম্পন্ন বিষয়, যা নিয়ে শুধু বাংলাদেশে নয়, বরং পৃথিবীর যে কোনো দেশের মোটামুটি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আমাদের দেশের সরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বুয়েট, ডুয়েট, চুয়েট, কুয়েট, রুয়েট এসব প্রতিষ্ঠানকে কমবেশি সিএসই স্নাতকের জন্য প্রথম পছন্দ হিসেবে ধরা হয়। এ ছাড়া সরকারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শাবিপ্রবি, মাভাবিপ্রবি, হাবিপ্রবি, নোবিপ্রবি, যবিপ্রবি, পাবিপ্রবি, বশেমুরবিপ্রবিসহ সব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। দেশের স্বনামধন্য অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া দেশের বিশেষায়িত কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এসইসি, এমইসিসহ অন্যান্য কলেজে এই বিষয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি; নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি; ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি; ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি; আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড এগ্রিকালচার; বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি।

যেসব কোর্স পড়ানো হয় সিএসই বিভাগে

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল প্রোগ্রামে সবচেয়ে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো প্রোগ্রামিং। একজন দক্ষ আইটি প্রযুক্তিবিদ হয়ে বাস্তবিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধানকল্পে অর্জন করতে হবে গভীর প্রোগ্রামিং স্কিল। এই লক্ষ্যে কারিকুলামে রয়েছে স্ট্রাকচার অ্যান্ড অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিংসহ অ্যানালিটিক্যাল প্রোগ্রামিংয়ের বিভিন্ন বিষয়। প্রোগ্রামিংয়ের লজিকসমূহ বিকশিত করতে রয়েছে ডেটা স্ট্রাকচার, অ্যালগরিদম ডিজাইন অ্যান্ড অ্যানালাইসিস, ডিস্ক্রিট ম্যাথসহ অন্যান্য বিষয়। এ ছাড়া হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও নেটওয়ার্কিং বিষয়ে শিক্ষার্থীকে পারদর্শী করে তুলতে কারিকুলামে রয়েছে একাধিক বিষয়।

শিক্ষার্থীদের অ্যাডভান্সড প্রযুক্তির সঙ্গে আপডেট রাখতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, নিউরাল নেটওয়ার্কসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত সাবজেক্টও পড়ানো হয়। পাশাপাশি মাল্টি ডিসিপ্লিনারি বিষয়সমূহ যেমন গণিত, পদার্থ, রসায়ন ও মানবিকের কিছু বিষয়কেও জোর দেওয়া হয়।

কর্মসংস্থানের সুযোগ কেমন রয়েছে

বাংলাদেশের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররা বিশ্বের নামকরা প্রতিষ্ঠানে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন। দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট প্রায় সব সেক্টরে সিএসই গ্র্যাজুয়েটদের আইটি সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ বর্তমানে পরিধি বাড়ছে। বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোতে প্রোগ্রামার, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে বিভিন্ন আইটি পদে ক্যারিয়ার গড়ে প্রযুক্তি খাতকে আরও উন্নত করার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। সিএসইতে পড়াশোনা করে দেশের বাইরে গুগল, মেটা, আমাজন, মাইক্রোসফট, সিসকোসহ বিভিন্ন টেক জায়ান্ট কোম্পানিতে চাকরি করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে শিক্ষকতার সুযোগ। শুধু অদম্য প্রচেষ্টা, ইচ্ছাশক্তি আর ধৈর্য, এই তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে সিএসইতে পড়লে যে কেউ তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।

তা ছাড়া অপারেটিং সিস্টেম, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মোবাইল কম্পিউটিং, নিউরাল কম্পিউটার বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। আপনার জ্ঞান-দক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নতুন কাজের পরিধি বাড়তে থাকবে। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডেটা ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, আইটি অফিসার, ওয়েব ডেভেলপার, প্রোগ্রামার ও নেটওয়ার্কিংসহ নানান বিষয় নিয়ে কাজের পরিসর। এ ছাড়া আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করেও উপার্জন করতে পারেন। দেশে আউটসোর্সিংয়ের বাজার দিন দিন বড় হচ্ছে।

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা

দেশের প্রতিটি সেক্টর এখন ডিজিটাল ও স্মার্ট সলিউশনের মধ্যে চলে আসছে এবং যা বাস্তবায়ন ও নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন দক্ষ ও প্রযুক্তিপ্রেমী কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ার। শিক্ষার্থীদের কাছে সিএসই জনপ্রিয় বিষয়। কারণ আগামীর পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করবে মেশিন লার্নিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারিগর কম্পিউটার বিজ্ঞান প্রকৌশলীরা।

উচ্চশিক্ষার সুযোগ

স্নাতক শেষ করে দেশ-বিদেশে উচ্চশিক্ষার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসইতে স্নাতক করা যায়। পাশাপাশি বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের যথেষ্ট সুযোগ আছে। ইউরোপ-আমেরিকাসহ পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে উচ্চশিক্ষা অর্জনের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। প্রতিবছর দেশের অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী এই বিষয়ে স্নাতক শেষ করে পূর্ণ শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।

কম্পিউটার বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণারও সুযোগ আছে অনেক

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন

উপাচার্য, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

একুশ শতাব্দীর এই অত্যাধুনিক যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) অবশ্যম্ভাবী একটি বিষয়। বর্তমান সময়ের উচ্চশিক্ষায় শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী যে যে বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে, এর একটি হলো সিএসই। তথ্যপ্রযুক্তির জনপ্রিয়তা, অবারিত কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা, মানসম্মত বেতন, গুগল-মাইক্রোসফটসহ বিশ্বের জনপ্রিয় আইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগসহ নানা কারণে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ দিন দিন আগ্রহের জায়গা তৈরি করে নিচ্ছে। আরেকটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। তা হলো বর্তমান যুগ পুরোপুরি কম্পিউটার। এটাকে আমলে নিয়েই বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা গ্রহণ করেছে; যা বাস্তবায়নে সিএসই’র মতো বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কারণ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল চাবিকাঠিই হলো কম্পিউটারের স্মার্ট ব্যবহার, ডিজিটাল কার্যক্রম। এই বিষয়টিও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সিএসইতে আগ্রহ বাড়াচ্ছে। কম্পিউটার সায়েন্স একটি টেকনিক্যাল সাবজেক্ট। তাই এটার ভবিষ্যৎও বেশ বিস্তৃত। একজন কম্পিউটার বিজ্ঞান গ্রাজুয়েটের সামনে অনেক ধরনের পথ থাকে। কেউ যদি চাকরি করতে চান, সেই সুযোগ রয়েছে। আবার কেউ যদি স্বতন্ত্রভাবে কাজের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হতে চান, সেটিও করতে পারেন।

আবার কম্পিউটার বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণারও সুযোগ আছে অনেক। সবচেয়ে বড় কথা হলো- গুগল, ফেসবুক, সফটওয়্যার, সিস্টেম ডিজাইন, উন্নত প্রোগ্রামিং, অ্যালগরিদম, ডেটা স্ট্রাকচার, কম্পিউটার আর্কিটেকচার, অপারেটিং সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, এমবেডেড সিস্টেম, সার্কিট অ্যানালাইসিস এবং ইলেক্ট্রনিক্স, ডিজিটাল লজিক এবং প্রসেসর ডিজাইনসহ বিশ্বের আধুনিক সব উদ্ভাবন, সবকিছুই হয়েছে কম্পিউটার সায়েন্সের কারণে।

আধুনিক বিশ্বে এমন কোনো উদ্ভাবন নেই, যেখানে কম্পিউটারের ছোঁয়া নেই। শুধু তাই নয়, বর্তমানে দেশের পড়াশোনা শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া ৮০ ভাগ ছাত্রছাত্রী কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক।

বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তথা বুয়েট, ডুয়েট, চুয়েট, কুয়েট, রুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই চালু রয়েছে।

যারা সিএসইতে পড়ছেন, যারা ভবিষ্যতে পড়তে চান এবং যারা পড়াশোনা শেষ করেছেন, সবার জন্য আমার পরামর্শ হলো, এই বিভাগে পড়ুয়াদের জন্য দক্ষতাই সব। একাডেমিক্যালি সিএসই পড়া এবং প্র্যাকটিস, দুটোই সমানতালে চালিয়ে যেতে হবে। তবেই সিএসইতে গ্র্যাজুয়েশন করার মূল উদ্দেশ্য হাসিল হবে।

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল শিক্ষা : সম্ভাবনার উজ্জ্বল দিগন্ত

মো. মাসুদ তারেক

সহযোগী অধ্যাপক, সিএসই বিভাগ, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

বর্তমান বিশ্বে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) শিক্ষা, যোগাযোগ, আর্থিক, স্বাস্থ্যসেবাসহ প্রায় সব খাতের পরিচালনা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি যদি প্রযুক্তি সম্পর্কে শিখতে এবং সর্বশেষ ডিজিটাল বিকাশের সঙ্গে আপডেট থাকতে চান তবে সিএসই হতে পারে আপনার সঠিক ক্যারিয়ার।

সিএসই এবং আইটি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। এখানে একজন শিক্ষার্থী অ্যালগরিদম টেকনিকের মাধ্যমে ধাপে ধাপে কীভাবে সমস্যা সমাধান করতে হয়, তথ্য সুরক্ষা থেকে শুরু করে উপাত্ত বিশ্লেষণ, ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট- সবই শেখানো হয়। এই দক্ষতাগুলো শুধু প্রযুক্তি ক্ষেত্রেই নয়, বরং অন্য অনেক ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আধুনিক অর্থনীতিতে পরিচালিত প্রায় প্রতিটি শিল্প, ব্যবসা এবং সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কম্পিউটার প্রযুক্তি, ফলে একজন সিএসই ডিগ্রিধারী সহজেই যে কোনো শিল্পে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, ওয়েভ ডেভলপার, সিস্টেম আর্কিটেক্ট, ডেটা এনালিস্ট, প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ারসহ অনেকভাবেই ভূমিকা রাখতে পারেন বিকল্প হিসেবে, ফ্রি ফ্রিল্যান্সিং এবং হোম অফিসের মতো আকর্ষণীয় সুবিধাগুলোও ভোগ করতে পারেন। গ্রাজুয়েটরা বৈশ্বিক বাজারে ফ্রিল্যান্সিং এবং আন্তর্জাতি/বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করছেন এবং সফলতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।

তবে সিএসই’র উচ্চ শিক্ষায় বাংলাদেশের কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। নতুন নতুন প্রযুক্তির উপযুক্ত শিক্ষকের অভাব, আধুনিক ল্যাব সুবিধার অভাব এবং ইন্ডাস্ট্রি সংযুক্তির অনুপস্থিতি আমাদের দেশের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় স্টেট ইউনিভার্সিটির অব বাংলাদেশের মতো উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্যাকাল্টি ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম, অত্যাধুনিক ল্যাব স্থাপন এবং ইন্ডাটিং লিংকেজ প্রোগ্রামের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে স্টেম (সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাথমেটিক্স) এডুকেশনের উপর বিশেষভাবে জোর দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সাম্প্রতিক গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, আগামী দশকে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিপুল উন্নয়ন ঘটবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, বিগ ডাটার মতো উন্নত প্রযুক্তি ভবিষ্যৎ চাকরির বাজারকে আরও সমৃদ্ধ করবে। তাই শিক্ষার্থীদের উচিত এখন থেকেই সঠিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা এবং তাদের দক্ষতাকে আরও উন্নত করা। সঠিক শিক্ষা এবং দিকনির্দেশনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা এক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল ভবিষৎ গড়ে তুলতে সফল হবে।