কোটা সংস্কার আন্দোলনের ভিডিও, ছবি যাচাই করে অ্যামনেস্টির উদ্বেগ
বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে হওয়া আন্দোলন চলাকালের ভিডিও ও ছবি বিশ্বেষণ করে ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠে এসেছে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। আজ বৃহস্পতিবার সংস্থাটি থেকে পাঠানো সংবাংদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া তিনটি ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে বিজ্ঞপ্তিতে অ্যামনেস্টি বলছে, প্রতিবাদ দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রাণঘাতী ও মৃদু প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র ডিরেক্টর ডেপ্রোজ মুচেনা বলেন, বাংলাদেশ থেকে আসা ভিডিও এবং ছবির ক্রমাগত যাচাই ও বিশ্লেষণে সেখানকার এক ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ সরকারের ভয়াবহ মানবাধিকার রেকর্ড এবং বিক্ষোভ দমনে মোতায়েন করা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কর্মকাণ্ডে আশ্বস্ত হওয়া যায় না যে ইন্টারনেট বন্ধ করে (এখনো ইন্টারনেট বন্ধ আংশিক বহাল আছে) আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের অনুপস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।
আরও পড়ুন:
‘হামাসকে ধ্বংস করা যাবে না’
জনসাধারণের প্রতিবাদ করার অধিকারকে সম্মান করতে এবং একইসঙ্গে এই সহিংস দমন-পীড়ন বন্ধ করে অবিলম্বে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সব বিধিনিষেধ তুলে নিতে বাংলাদেশ সরকার এবং তার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানায় আন্তর্জাতিক এ মানবাধিকার সংস্থাটি। একইসঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর সংখ্যাসহ নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনার তাগিদ দেয় তারা।
এ ছাড়া বেআইনিভাবে পুলিশি বলপ্রয়োগের ফলে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্র থেকে পূর্ণ ক্ষতিপূরণ পাওয়া উচিত বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে অ্যামনেস্টি।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার