‘দোষ ঢাকতে ইসলাম ধর্মকে ঢাল বানাচ্ছে রিজওয়ান’

স্পোর্টস ডেস্ক
০৪ জুলাই ২০২৪, ১৭:০৩
শেয়ার :
‘দোষ ঢাকতে ইসলাম ধর্মকে ঢাল বানাচ্ছে রিজওয়ান’

ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের জন্য নানা সময়ই আলোচনায় থাকেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। পাকিস্তানের আরেক ক্রিকেটার আহমেদ শেহজাদ মনে করেন, নিজের ব্যর্থতা ঢাকতেই ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করেন রিজওয়ান। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ রিজওয়ানের কড়া সমালোচনা করে শেহজাদ বলেন, ‘এটা খুবই হতাশার যে কিছু খেলোয়াড় অপ্রয়োজনীয় সংবাদ সম্মেলন করে ও ধর্মের কার্ড খেলে বিশ্বকাপে তাদের বাজে পারফরম্যান্স ঢাকার চেষ্টা করছে। যখন তারা ফিটনেস নিয়ে মিথ্যা কথা বলে এবং যখন তারা স্বীকার করে মাঠে অভিনয় করেছিল তখন তাদের ধর্ম কোথায় যায়? ধর্ম কি তোমাকে অন্যকে ধোঁকা দিতে এবং মাঠে মিথ্যা বলতে শেখায়? দলে পারফর্ম করার জন্য তোমাকে বেতন দেওয়া হয় এবং এ কারণেই তুমি দলে থাকো। ধর্ম আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার শিক্ষা দেয় এবং আমাদের দুর্বলতার নিয়ে মিথ্যা বলতে নিরুৎসাহিত করে।’

বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের পরও বিদেশের লিগে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের খেলতে অনুমতি দেওয়ায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেরও সমালোচনা করেছেন শেহজাদ। ২০১৯ সালে সবশেষ পাকিস্তানের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার খেলোয়াড়দের নিবেদন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। 

শেহজাদ বলেন, ‘বিশ্বকাপে খুব বাজে পারফরম্যান্সের পরও ১২ জন ক্রিকেটারকে বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অনুমতি দিয়েছে পিসিবি। এই খেলোয়াড়দের কোনো লজ্জা নেই। তারা পাকিস্তানের হয়ে পারফর্ম করতে পারেনি কিন্তু যথারীতি লিগ ক্রিকেট খেলবে। পিসিবির কি এমন করা ঠিক?’

পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নকভি দলে ‘মেজর সার্জারি’র ইঙ্গিত দিলেও সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সেটি নিয়েও ক্ষোভ শেহজাদের, ‘পিসিবি চেয়ারম্যানের প্রতিশ্রুত সেই বড় সার্জারি কোথায়? এখনো কেন সেই সার্জারি শুরু হয়নি? ম্যানেজার ও হেড কোচের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী কেন এখনো খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? এসব খেলোয়াড়রা পাকিস্তানের হয়ে খেলতে তেমন আগ্রহী নয় এবং শুধু লিগের চুক্তি নিয়েই ভাবে। আমরা পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে অনেক লিগের চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছি কিন্তু এসব খেলোয়াড়দের কোনো লজ্জা নেই এবং বাজে একটি বিশ্বকাপের পরও বিদেশের লিগে খেলার অনুমতি চায়। লজ্জাজনক কাজ এবং পিসিবির উচিত খেলোয়াড়রা যারা গ্রুপিং করে তাদের দল থেকে বাদ দেওয়া। এসব খেলোয়াড়দের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। কিন্তু তাদের কোনো অনুশোচনা নেই এবং ভক্তদের অনুভূতি সম্পর্কে চিন্তা করে না তারা।’