রোনালদো-রুনির ক্লাবে ‘তুর্কি মেসি’ আরদা গুলের

স্পোর্টস ডেস্ক
০৩ জুলাই ২০২৪, ২১:৫২
শেয়ার :
রোনালদো-রুনির ক্লাবে ‘তুর্কি মেসি’ আরদা গুলের

দারুণ প্রতিভার কারণে অনেক আগেই তুরস্কের মেসি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন আরদা গুলের। প্রতিভার প্রমাণও দিচ্ছেন ১৯ বছরের এই তারকা। ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের পর ঝলক দেখাচ্ছেন জাতীয় দল তুরস্কের হয়েও। গতকাল রাতে অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে চলমান ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে তুরস্ক। ম্যাচে তুরস্কের দ্বিতীয় গোলে অ্যাসিস্ট করে জয়ে দারুণ অবদান রেখেছেন গুলের। 

এক অ্যাসিস্টের মাধ্যমে দারুণ এক রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন গুলের। পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও ইংল্যান্ডের ওয়েইন রুনির পর তৃতীয় টিনএজার ফুটবলার হিসেবে ইউরোর একই আসরে গোল ও অ্যাসিস্ট করার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। রোনালদো ও রুনি দুজনই ২০০৪ সালে এই রেকর্ড গড়েছিলেন। 

তুরস্ক-অস্ট্রিয়ার ম্যাচ ছাড়াও গতকাল রোমানিয়ার বিপক্ষে খেলেছে নেদারল্যান্ডস। যেখানে রোমানিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ডাচরা। সেই ম্যাচেও হয়েছে কিছু রেকর্ড। সংখ্যায় সংখ্যায় সেসব রেকর্ড তুলে ধরেছেন জনপ্রিয় ফুটবল ওয়েবসাইট ইএসপিএন। 

২৫ বছর ৫৬ দিন

রোমানিয়ার বিপক্ষে গতকাল একটি গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্টও করেন কোডি গ্যাকপো। মার্কো ভ্যান বাস্তেনের পর তিনিই দেশটির সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়, যিনি ইউরোর মতো বড় টুর্নামেন্টের নক আউট পর্বের ম্যাচে গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্ট পেলেন। ১৯৮৮ সালে ইউরোতে ২৩ বছর ২৩৮ দিন বয়সে এই রেকর্ড গড়েছিলেন বাস্তেন। 

৩ এবং ৩

গ্যাকপো নেদারল্যান্ডসের চারজন ফুটবলারের একজন যারা বিশ্বকাপ ও ইউরো, দুইটি টুর্নামেন্টেই ৩টির বেশি গোল পেলেন। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ডেনিস বার্গক্যাম্প, রবিন ভ্যান পার্সি ও মেমফিস দিপেইয়ের। 

নেদারল্যান্ডসের হয়ে গতকাল জোড়া গোল করেছেন বদলি হিসেবে নামা ডোনিলে মালেন। বদলি হিসেবে নেমে এখন পর্যন্ত তার গোলসংখ্যা ৮। ডাচদের হয়ে বদলি হিসেবে নেমে সর্বোচ্চ গোল পিয়েরে ভ্যান হইডঙ্কের। 

২১ বছর ১০ মাস ১৬ দিন

নেদারল্যান্ডসের বার্ট ভারব্রুগেন ইউরো নকআউট ইতিহাসে গোলবার সুরক্ষিত রাখা সবচেয়ে কম বয়সী গোলকিপার। 

৫৭ সেকেন্ড

তুরস্কের মেরিহ দেমরিয়াল গতকাল প্রথম গোল পেয়েছেন ম্যাচ শুরুর মাত্র ৫৭ সেকেন্ডের মধ্যে। ইউরোর নকআউট ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে দ্রুততম গোল। 

১৭

চলমান ইউরোর শেষ ষোলোয় ১৭ গোলে অবদান রেখেছেন ২২ বছরের নিচের খেলোয়াড়রা। ইউরোর ইতিহাসে যেটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০০৪ সালে ২২ বছরের কম বয়সীরা ১৮টি গোলে অবদান রেখেছিলেন। এর মধ্যে তিনজনেরই ছিল ১২ গোলে অবদান। ওয়েইন রুনি (৫ গোল+অ্যাসিস্ট), ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (৪ গোল+অ্যাসিস্ট) এবং আরিয়ান রোবেন (৩ গোল+অ্যাসিস্ট)।