বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন না, তাসকিনের হুঁশিয়ারি
কিছুদিন আগেই শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছাপিয়ে এখন আলোচনার বিষয়, ‘ঘুমের কারণে পেসার তাসকিন আহমেদের ম্যাচ মিস দেওয়া।’ ক্রিকেটভিত্তিক পোর্টাল ক্রিকবাজ গতকাল মঙ্গলবার বিসিবির এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ম্যাচের দিন দেরিতে ঘুম থেকে ওঠায় টিম বাস মিস করেন তাসকিন। পরে এই পেসারকে ছাড়াই একাদশ সাজাতে বাধ্য হয় টিম ম্যানেজমেন্ট! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির শীর্ষ একজন কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এরপরই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়।
বিষয়টি নিয়ে জল গড়িয়েছে অনেকদূর। শেষমেশ মুখ খুলতে বাধ্য হলেন তাসকিন। ক্রিকবাজের দেওয়া দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার তথ্য স্বীকার করলেও বিষয়টি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে মনে করেন তাসকিন। অতিরঞ্জিত করা হলে আইনি ব্যবস্থার হুমকিও দিয়েছেন এই পেসার।
দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার ব্যাপারটি স্বীকার করে তাসকিন ফেসবুকে লেখেন, ‘ আমি সবাইকে জানাতে চাই যে বেশিরভাগ সংবাদ এবং তথ্য যা ছড়ানো হচ্ছে তা কেবল গুজব এবং আমি আশা করি ভক্তরা এটি সেইভাবে দেখবেন।...আমি স্বীকার করি যে আমি স্বাভাবিকের চেয়ে পরে উঠেছি এবং এর জন্য আমি ইতিমধ্যে পুরো দল এবং ম্যানেজমেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।’
ঘটনার ব্যাখ্যায় তাসকিন আরও লেখেন, ‘আমি সকাল ৮:৩৭ এ উঠেছিলাম এবং ৮:৪৩ এ লবিতে গিয়েছিলাম এবং আমার রাইড প্রস্তুত হওয়ার সাথে সাথে আমি সকাল ৯:০০ এ হোটেল ছেড়েছি। আমি সকাল ৯:৪০ এ স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছি, ম্যাচ টসের ২০ মিনিট আগে সকাল ১০:০০ এ। আমরা সকাল ১০:১৫ এ জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছিলাম এবং ম্যাচটি সকাল ১০:৩০ এ শুরু হয়েছিল। এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে এই তথাকথিত ক্রীড়া সাংবাদিকরা গুজবের ভিত্তিতে খবর প্রচার/মুদ্রণ করছে এবং যাচাই না করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে যা জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড় হিসাবে।’
তাসকিন পরে হুঁশিয়ারি দিয়ে লেখেন, ‘আমি আশা করি মিডিয়া এবং ক্রীড়া সাংবাদিকরা মিথ্যা গল্প লেখার আগে আরও সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং একটি বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন না। এটি কেবল আমাদের খেলোয়াড়দের ক্ষতি করে না বরং আমাদের দেশের সামগ্রিক চিত্রকে ক্ষুণ্ন করে। আমি বিশ্বাস করি আমরা সবাই সৎ এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আশা করি যাতে জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারি। ভবিষ্যতে, আমি আইনি ভাবে এই ধরনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো যাতে কেউ আমার ক্রীড়াবিদ বা মানুষ হিসাবে আমার সুনাম বা অখণ্ডতা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা না করে।’