সূর্যর নেওয়া সেই ক্যাচ নিয়ে দ. আফ্রিকা কিংবদন্তি কী বললেন

স্পোর্টস ডেস্ক
০১ জুলাই ২০২৪, ২১:০৪
শেয়ার :
সূর্যর নেওয়া সেই ক্যাচ নিয়ে দ. আফ্রিকা কিংবদন্তি কী বললেন

হারতে বসা ম্যাচে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে নিয়েছে ভারত। দীর্ঘদিনের ট্রফি খরা ভেঙে রোহিত শর্মারা ভারতীয়দের আবেগে ভাসিয়েছেন, নিজেরা ভেসেছেন। ক্রিকেট দুনিয়ার বাইরে হলেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর মতো ফুটবল অঙ্গনের তারকারা। তবে এই ম্যাচে আলোচনার একটি বড় অংশ কেড়ে নিয়েছে ম্যাচের শেষ ওভারে সূর্যকুমার যাদবের একটি ক্যাচ। 

১৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার একটা সময়ে দরকার ছিল ৬ বলে ১৬ রান। লং অফে হার্দিক পান্ডিয়ার ফুলটস বল উড়িয়ে মারলেন ডেভিড মিলার। কিন্তু সেটা সীমানার কাছ থেকে তালুবন্দি করেন সূর্যকুমার যাদব। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দড়ির বাইরেও চলে যেতে হয় তাকে, এ সময়টায় শূন্যে বল উড়ছিল। পরে সেটি আবার ধরেন সূর্যকুমার। টিভি রিভিউ দেখে আউট দেন রিচার্ড কেটলবরো।

মিলার আউট হতেই মোটামুটি আশা শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। কেননা পরের ৫ বলে আর ৮ রান করতে সক্ষম হয় দলটি। ম্যাচ শেষে সেই ক্যাচটি নিয়ে অবশ্য কিছুটা বিতর্কও উঠেছে। তৃতীয় আম্পায়ার রিপ্লে দেখেই চূড়ান্ত আউটের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। তবে এসব ক্যাচের ক্ষেত্রে সামনের অ্যাঙ্গেল থেকেও রিপ্লে দেখা হয়। তবে এদিন সেটি করা হয়নি।

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে ক্যাচটি নিয়ে জানতে চাওয়া হয় দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করামের কাছে। প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি এটা এখনো দেখিনি। দেখতে পারিনি। হ্যাঁ, রিপ্লে একটু দ্রুতই হয়েছে। অবশ্যই তারা বেশ নিশ্চিতই ছিল যে এটা আউট এবং এ কারণেই রিপ্লে দ্রুত দেখেছে।’

এবার ক্যাচটি নিয়ে কথা বললেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেসার শন পোলক। তিনি বলেন, ‘ক্যাচটা ভালোই ছিল। বাউন্ডারির কুশনটা কিছুটা সরানো ছিল, কিন্তু সেটা খেলার মধ্যেই হয়েছে। সূর্যের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক ছিল না। সে কুশনের ওপর দাঁড়ায়নি। সে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।’

দারুণ সেই ক্যাচটি ধরা সূর্যকুমার বলেছেন, ‘এখন বলা সহজ। কিন্তু সেই সময়ে মনে হচ্ছিল একটা ট্রফি বাউন্ডারি পেরিয়ে ওপারে চলে যাচ্ছে। কিন্তু হ্যাঁ, সেই মুহূর্তে আপনি মনে করবেন না বলটি বাউন্ডারি লাইন অতিক্রম করে ছয় হয়ে যাবে। আমার আয়ত্তে যা ছিল আমি করার চেষ্টা করেছি। বাতাসও সেই সময়ে ভালো ভূমিকা রেখেছিল এবং আমাকে কিছুটা সাহায্য করেছে। আমরা আমাদের ফিল্ডিং কোচের সঙ্গে এসব নিয়ে অনেক অনুশীলন করেছি এবং এমন অনেক ক্যাচ ধরেছি। তাই যখন এ ধরনের ম্যাচের কথা আসে তখন মানসিক ব্যাপার খুব গুরুত্বপূর্ণ।’