চসিকের অবহেলায় চট্টগ্রাম জলাবদ্ধ

চট্টগ্রাম ব্যুরো
০১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
চসিকের অবহেলায় চট্টগ্রাম জলাবদ্ধ

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গতকাল রবিবার ভোর থেকে দুপুরের আগ পর্যন্ত চট্টগ্রাম অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হয়েছে। আর তাতেই চট্টগ্রাম শহরের নিচু এলাকাগুলো ডুবে যায় পানিতে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ৮ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। আর এই সময়েই বৃষ্টিতে নগরীর কোনো কোনো এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে ডুবছে। অভিযোগ রয়েছে, সিডিএ প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৪টি খালের খনন কাজ করলেও ছোট ও মাঝারি নালাগুলো পরিষ্কারের কাজটি সঠিকভাবে করেনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এতেই নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে হরহামেশা।

ভারী বর্ষণের পর গতকাল বাকলিয়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির পানিতে ভরেনি চাক্তাই খাল। অথচ বৃষ্টির পর সে পানি দ্রুত গড়িয়ে খালে পড়ার কথা। সড়কের পাশে থাকা নালাগুলো পরিষ্কার না থাকায় পানি খালে যেতে না পেরে সড়ক বা আশপাশের এলাকায় জমে থাকছে। জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ খালগুলোর মুখে সøুইস গেট স্থাপন করায় কর্ণফুলীর পানি শহরে ঢুকতে পারে না। কিন্তু বৃষ্টির পানি খালে পড়ার জন্য নালাগুলো পর্যাপ্ত পরিষ্কার নয়।

সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ আমাদের সময়কে বলেন, বৃষ্টি হলেই আমি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখি। কেন পানি জমে যায় সেটা জানার চেষ্টা করি। এবারও আমি দেখলাম খালে পানি নেই। কিন্তু শহরের কোনো কোনো এলাকায় জলাবদ্ধতা। এসব সমস্যা সমাধানে আমরা চসিকের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি।

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজেমী আমাদের সময়কে বলেন, প্রতি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ১০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করেন। চট্টগ্রাম শহরে ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সার্ভিস ড্রেন আছে। এসব ড্রেন পলিথিন ফেলে ভর্তি করে রাখা হয়। আমরা যে এলাকা যেদিন পরিষ্কার করি, পরদিন গিয়ে দেখি আবারও আবর্জনায় ভর্তি। ফলে দ্রুত পানি সরে যাওয়ার কাজটি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, যতদিন জনগণ এ ব্যাপারে সচেতন না হবে, ততদিন এ ধরনের সমস্যা থেকে আমাদের মুক্তি মিলছে না। পলিথিনের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পলিথিন পড়ে কর্ণফুলী নদী ২০ থেকে ২৫ ফুট ভরে গেছে। কাজেমী বলেন, এত কাজ করার পর দেখা যাচ্ছে আগে যেখানে বৃষ্টির এক ঘণ্টার মধ্যে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো, এখন সেটা তিন ঘণ্টা পরে হচ্ছে।

নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার কারণে গতকাল এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেককে পানি মাড়িয়ে পৌঁছতে হয় পরীক্ষা কেন্দ্রে।