৭ বছরে অগ্রগতি পিলার আর রড
যশোর উপশহরের খাজুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৮৬ কোটি টাকায় একটি সরকারি মার্কেট নির্মাণকাজ সাত বছরে অগ্রগতি হয়েছে পিলার ও রড পর্যন্ত। ২০১৬ সালে যশোর হাউজিং এস্টেটের মালিকানাধীন গোল মার্কেট ভেঙে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ অত্যাধুনিক মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ঢাকার বসুন্ধরা সিটির আদলে ১০তলা বিশিষ্ট মার্কেটটিতে ৫০০টি দোকান তৈরির পরিকল্পনা হয়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে শুরু হওয়া নির্মাণকাজ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এত দিনেও নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় দোকান বরাদ্দের অপেক্ষায় থাকা ব্যসায়ীরা হতাশ ও উৎকণ্ঠিত।
জানা জায়, শুরুর দুই বছর পর করোনাকালে বন্ধ হয়ে যায় নির্মাণকাজ। এর মধ্যে আবার মার্কেটের আয়তন বৃদ্ধি করে বরাদ্দ বাড়াতে ২০২২, ২০২৩ ও চলতি বছরের কিছুদিন কাজ বন্ধ রাখা হয়। যদিও বর্তমানে নির্মাণকাজ চলছে। কিন্তু কাজের গতি খুবই হতাশাব্যঞ্জক। সাত বছরে সবেমাত্র পিলার ও কিছু রড দৃশ্যমান হয়েছে।
ভেঙে দেওয়া গোল মার্কেটের ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম জানান, সেখানে আগে যারা ব্যবসা করত তাদেরকে দোকান বরাদ্দে অগ্রাধিকারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ঘর পাওয়ার আশায় এই সাত বছর ধরে বেকার বসে আছি। মনে হচ্ছে আগামী ৫ বছরেও কাজ শেষ হবে না। এ নিয়ে তারা হতাশ ও উৎকণ্ঠিত। তারা দ্রুত নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার দাবি জানান।
আরও পড়ুন:
ডেমরায় এক কক্ষে কিশোরী ও যুবকের মরদেহ
যশোর হাউজিং এস্টেটের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রিদুয়ার হোসেন জানান, মার্কেটের প্রথমে ৫তলা পর্যন্ত হবে। আয়তন বেড়ে যাওয়ায় ব্যয়ও বাড়বে। তাই বর্ধিত ব্যয় বরাদ্দ ছাড় করাতে সময় বেশি লাগছে। এ জন্য প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন:
আফরোজা পারভীন পেলেন অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার