কারাতের উন্নয়নের প্রয়াস এসকেআইএফ বাংলাদেশের
এসকেআইএফ বাংলাদেশ আয়োজনে প্রথমবারের মতো কারাতে সেমিনার সেমিনার প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও ড্যান গ্রেডিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিরপুর হোসেন সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে তিন দিনব্যাপি এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। আজ ছিল আয়োজনের শেষ দিন। দেশজুড়ে কারাতের সার্বিক উন্নয়ন, প্রচার ও প্রসারই মূল উদ্দেশ্য ছিল এটির।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন জাপানিজ কোচ, অষ্টম ড্যান ও ওয়ার্ল্ড চিফ ইন্সট্রাক্টর সুশেকি শিহান মানাবু মুরাকামি এবং সপ্তম ড্যান ও এসকেআইএফ বাংলাদেশ চিফ অ্যাডভাইজার শিহান তেৎসুরা কিতামুরা। তাদের সহকারী হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির কারাতে দল এবং জাতীয় কারাতে দলের কোচ মো. জসিম উদ্দিন। শেষ দিনে বাংলাদেশের প্রথম কারাতেকার হিসেবে ৫ম ড্যানে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এ সময় তাদের সংবর্ধনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
দেশজুড়ে কয়েকটি বিভাগ, জেলা, ক্লাব, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিকেএসপির প্রায় ৬০০ কারাতেকার এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভূক্ত ছিলেন ৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সী শিশু-কিশোর (১১০), নারী (১৭৫) ও পুরুষ (৩০০) কারাতেকার। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সনদপত্র।
বাংলাদেশের কারাতেকাদের সম্ভাবনা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে সমাপনী অনুষ্ঠানে কর্মশালার প্রধান প্রশিক্ষক মানাবু মুরাকামি বলেন, ‘আমি ১০ বছর আগে এখানে এসেছিলাম। ওই সময় থেকে বর্তমানে বাংলাদেশে কারাতে অনেক উন্নতি করেছে। তবে বাংলাদেশের সিনিয়র কারাতেকাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেতে হলে আরও অনেক প্রশিক্ষণ ও পরিশ্রম করতে হবে। কেননা তাদের দেখে জুনিয়ররা শিখবে। শুধু তাই নয়, কারাতের পাশাপাশি আরও কিছু করতে হবে। দুর্বলতা দূর করতে গতি বাড়াতে হবে।’
প্রশিক্ষণ শেষে এসকেআইএফ ড্যান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩৫ জন ড্যান টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। পুরো আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম উদ্দিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-মহাপরিচালক জিয়াউল হাসান, মো. রায়হান উদ্দিন ফকির সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া ও সংস্কৃতি), কারাতে ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন সেন্টু, কোষাধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ কোষাধ্যক্ষ, যুগ্ম-সম্পাদক টুলুস সামসসহ অন্যরা।