হায়দরাবাদ হাউজে প্রধানমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজে ছিল যত খাবার
রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের নয়াদিল্লি গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার হায়দরাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আয়োজিত এক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন তিনি।
ওই ভোজে কলকাতার বিরিয়ানি, সুগন্ধি বাসমতি চালের ভাত এবং কলকাতার স্টাইলে রান্না করা ও স্বাদযুক্ত শাকসবজি, স্থানীয় খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। ভোজ শুরু হয় ভারতের স্ট্রিট ফুড হিসেবে বহুল পরিচিত দই-ফুচকা দিয়ে। এরপর আসে স্টু বা সুরুয়া। পার্ল মিলেট (মুক্তা বাজরা) আর মটরশুটি দিয়ে তৈরি ওই স্টু’র নাম ‘মটর অর বাজরে কা শোর্বা’।
মাছের পাতুরি বাঙালির অতি প্রিয় পদ। তবে শেখ হাসিনার জন্য পরিবেশন করা হয় ছানার পাতুরি। ওই পাতুরিতে ছানার সঙ্গে মেশানো ছিল নারকেল, কাঁচা আম, মরিচ আর সর্ষে বাটা। এরপর পরিবেশন করা হয় সিঙাড়া। সিঙাড়ার পুর হিসেবে ছিল আলু, ফেটা চিজ, ফুলকপি, বাদাম ও থাইম।
শেখ হাসিনাসহ অতিথিদের পাতে এরপর দেওয়া হয় ‘আমারান্থ কোফতা গুলবদন’ অর্থাৎ কোফতার কারিতে সেদ্ধ করা আমারান্থ বাজরার ডাম্পলিং।পরে দেওয়া হয় গুজরাতি পদ ‘পঞ্চমেল নি সবজি’ অর্থাৎ জিরা, পেঁয়াজ ও টমোটা দিয়ে রান্না পাঁচমিশালি সবজি। এরপর দই ও পনির। এই পদটি বিভিন্ন মশলায় মাখানো পনিরের স্টেক, যা টক দই এবং নানা ভারতীয় মশলায় রান্না করা। আরও ছিল শুক্তো ও মসুর ডাল।
এ ছাড়া ছিল স্পেশাল ভারতীয় রুটি, পান রসমালাই কুলি, গুড়ের জিলাপি ও আমের কুলফি এবং বিভিন্ন মৌসুমি ফলমূল ও মাসালা কফি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গতকাল শুক্রবার নয়াদিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফর শেষে আজ রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:
‘হামাসকে ধ্বংস করা যাবে না’