বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়

সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ জুন ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়

সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেছেন, বছরে সাত থেকে আট বিলিয়ন ডলার বা ৮১ থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়। টাকা পাচার থেকেই ডলার সংকটের শুরু। তাই জরুরি ভিত্তিতে এটি রোধ করার পদক্ষেপ দরকার। গতকাল রাজধানীর ফার্মগেটে বিএআরসি মিলনায়তনে ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি : প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য ও পুষ্টি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঋণের ২২ শতাংশ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ব্যাংকের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এর রাশ টানতে হবেই। ব্যাংক কমিশন করলে

ভালো, না হলে বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদদের দিয়ে অন্তত শক্তিশালী একটা কমিটি করা উচিত।

এডিপি বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এডিপি তিন লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা হওয়ার কথা। হয়েছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।

বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল হচ্ছে জানিয়ে শামসুল আলম বলেন, অফশোর ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ সুদে বিদেশি মুদ্রার আমানত আসতে পারে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে এবারের বাজেট হওয়ার কথা ছিল ৯ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা। সেখানে মূল্যস্ফীতি কমাতে বাজেটের আকার কমিয়ে সাত লাখ ৯৭ হাজার প্রস্তাব করা হয়েছে। টাকার সরবরাহ কমলে মূল্যস্ফীতি কমবে।

অর্থমন্ত্রীকে কর আদায়ে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে শামসুল আলম বলেন, এনবিআরকে শুধু কর আদায়ে ব্যবহার করুন। তবে ঋণখেলাপি কীভাবে কমানো যায় তা চিন্তা করতে হবে। ব্যাংক একীভূত করার যে উদ্যোগ তার ফল অনিশ্চিত। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. জিয়াওকুন শি।