মতিউরই ইফাতের বাবা : নিজাম হাজারী
আলোচনার তুঙ্গে পিতৃপরিচয়
কোরবানির জন্য একটি ছাগল ১৫ লাখ টাকায় কেনার কাণ্ডে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া যুবক মুশফিকুর রহমান ইফাত এখন আলোচনার তুঙ্গে। তার পিতৃপরিচয় নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য ও কাস্টমস আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. মতিউর রহমান ইফাতকে তার সন্তান হিসেবে অস্বীকার করলেও গতকাল ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম হাজারী বলেছেন, ইফাত মতিউর রহমানেরই ছেলে।
আরও পড়ুন:
একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজাম উদ্দিন হাজারী গতকাল আমাদের সময়কে জানান, ইফাত তার মামাতো বোন শিবুর সন্তান। আর মতিউর রহমান ইফাতের বাবা। নিজাম হাজারীর ধারণা, রাগ করে মতিউর রহমান ইফাতের সঙ্গে পিতৃত্বের সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন। ইফাত আপনার মামাতো বোনের আগের ঘরের সন্তান কিনাÑ এ প্রশ্নের উত্তরে নিজাম হাজারী বলেন, না। মতিউরের ঘরেরই সন্তান ইফাত।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই ইফাত বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে কখন, কোন দেশে গেছেন তা জানা যায়নি। ইফাতের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টি মতিউর রহমান অস্বীকার করার পর থেকে ফেসবুকে একের পর এক ছবি আসছে ইফাতের। যেসব ছবিতে মতিউর রহমানের সঙ্গে ইফাতকে দেখা গেছে। যদিও মতিউর রহমান বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ছাগল নিয়ে ভাইরাল হওয়া যুবক ইফাত ও তার মা শাম্মী আখতারকে চেনেন না বলে জানান।
জানা গেছে, মুশফিকুর রহমান ইফাত যে মোবাইল নম্বরটি ব্যবহার করেন, সেটি তোলা হয়েছে তার মায়ের জাতীয় পরিচত্রপত্রের মাধ্যমে। সেখানে শাম্মী আখতারের স্বামীর নামের জায়গায় রয়েছে মতিউর রহমানের নাম। বাড়ির যে ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে, সেটিও ধানমন্ডি আট নম্বর সড়কের ৪১ নম্বর বাসার। এ বাসাতেই থাকেন ইফাত।
এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চেয়ারম্যান। একসময় শিক্ষকতা করতেন।
আরও পড়ুন:
পাল্টে যেতে পারে আন্দোলনের ধরন
জানা গেছে, মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকার ছাগল কেনার ছবি ইফাত ফেসবুকে দেওয়ার পরই ভাইরাল হয়ে যায়। আলোচনায় আসে, ইফাত এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে। এরপরই মতিউর রহমান গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানান ইফাত তার ছেলে নন। ‘সাদিক অ্যাগ্রো’ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, আলোচিত সেই তরুণ শুধু এক লাখ টাকা দিয়ে ছাগলটি বুক করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পুরো টাকা পরিশোধ করে ছাগলটিকে খামার থেকে বাড়িতে নিয়ে যাননি।