ইংল্যান্ডের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড। তাতে দলীয় নৈপুণ্যে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে রভম্যান পাওয়েলের দল। জনসন চার্লস, নিকোলাস পুরান ও দলনেতা পাওয়েলের ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসের বদৌলতে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রানের সংগ্রহ পেয়েছে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।
আজ বৃহস্পতিবার সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনে করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার জনসন চার্লস ও ব্রেন্ডন কিং। খানিকবাদেই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যান কিং। ক্রিজে আসেন নিকোলাস পুরান। পাওয়ার প্লে’তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৫৪ রান। আক্রমণের ধার বজায় রেখে চার-ছক্কা আর স্ট্রাইক রোটেশনে রানের চাকা সচল রাখেন চার্লস ও পুরান। তবে পাওয়ার প্লে’র পর কিছুটা স্লো ব্যাটিং করেন চার্লস। তাতে ১০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৮২ রান।
স্পিনার মঈন আলী ১২তম ওভারে আক্রমণে আসতেই উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন ক্যারিবীয় ওপেনার। মঈন আলীকে উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন চার্লস। তবে ব্যাটে-বলে ঠিক মিললো না। লং অনে দারুণ এক ক্যাচ নেন হ্যারি ব্রুক।
চার্লসের বিদায়ে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক পাওয়েল। পুরান ও পাওয়েল মিলে দলীয় রান একশর ঘর পার করেন। ধীরে ধীরে চড়াও হতে শুরু করেন দুজন। তবে এই জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১৫তম ওভারের শেষ বলে লিয়াম লিভিংস্টোনকে মারতে গিয়ে মার্ক উডের তালুবন্দি হন ১৭ বলে ৫ ছক্কায় ৩৬ রান করা পাওয়েল।
পাওয়েলের বিদায়ে ক্রিজে আসেন আন্দ্রে রাসেল। এর খানিকবাদেই সাজঘরে ফিরে যান ৩২ বলে ৩৬ রান করা পুরান। আন্দ্রে রাসেল ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই ফিল সল্টের ক্যাচ বানিয়ে তাকে ১ রানে ফেরান আদিল রশিদ।
এরপর জুটি বাঁধেন শেরফান রাদারফোর্ড ও রোমারিও শেফার্ড। তারা দুজন অবিচ্ছিন্ন থেকে দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দেন।