ম্যাচ জমিয়ে দ. আফ্রিকার কাছে হারল যুক্তরাষ্ট্র

স্পোর্টস ডেস্ক
২০ জুন ২০২৪, ০০:০৮
শেয়ার :
ম্যাচ জমিয়ে দ. আফ্রিকার কাছে হারল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একেবারেই নবাগত দল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবারই প্রথম খেলছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে দলটি। ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে এসেছিল দলটি। বিশ্বকাপে এসে কানাডা-পাকিস্তানের মতো দলকে হারিয়ে পৌঁছে গেছে সুপার এইটে। এখানেও ছেড়ে কথা বলছে না দলটি। সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারলেও তুমুল লড়াই করেছে। 

প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ১৯৪ রানের পাহাড়সম রান তোলে প্রোটিয়ারা। বিশাল এই রানে মনোবল না হারিয়ে জয়ের জন্যই খেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। কাঙ্খিত ফল এলেও ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে ফেলে দলটি। এক পর্যায়ে দেখিয়েছিল জয়ের সম্ভাবনাও। তবে শেষ পর্যন্ত হারতে হয়েছে ১৮ রানে। 

১৯৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা যুক্তরাষ্ট্রের ইনিংস তিন ভাগে ভাগ করা যায়। দুর্দান্ত শুরু, মাঝের ওভারে পিছিয়ে যাওয়া ও শেষে আবার উত্থান। বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেন স্টিভেন টেইলর ও আদ্রিয়ান গাউস। চার-ছক্কায় হতাশ করতে থাকেন প্রোটিয়া বোলারদের। ৩ ওভার ২ বলেই তুলে ফেলেন ৩৩ রান। তবে ওভারের তৃতীয় বলে টেইলর ফিরলে ধাক্কা খায় দলটি। 

ভালো শুরু করলেও মাঝের ওভারগুলোতে খেই হারায় যুক্তরাষ্ট্র। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নীতিশ কুমার, অধিনায়ক অ্যারন জোন্স, কোরে অ্যান্ডারসন ও শায়ান জাহাঙ্গীর। তবে একপ্রান্ত আগলে রানের চাকা দারুণভাবে সচল রাখেন ওপেনার গাউস। তিনি মনের মতো সঙ্গী পান ষষ্ঠ উইকেটে। হারমিত সিংয়ের সঙ্গে এই উইকেটে তিনি মাত্র ৪২ বলে যোগ করেন ৯১ রান। এই সময়ে জয়ের সম্ভাবনাও দেখছিল দলটি। শেষ ২ ওভারে দরকার ছিল ২৮ রান। তবে ১৯তম ওভারের প্রথম বলে হারমিত ফিরলে সম্ভাবনা নষ্ট হয়। ২২ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ রান করেন হারমিত। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানে থামে যুক্তরাষ্ট। ৪৭ বলে ৮০ রানে অপরাজিত ছিলেন গাউস। দুর্দান্ত এই ইনিংস খেলার পথে সমান ৫টি করে চার ও ছক্কা হাঁকান তিনি। 

অ্যান্টিগায় টসে জিতে এদিন দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অ্যারন জোন্স। ১৬ রানের মাথায় রেজা হেনড্রিক্সকে ফিরিয়ে শুরুটা মন্দ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। তবে আরেক প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক এদিন ছিলেন খুনে মেজাজে। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক এইডেন মার্করামকে নিয়ে তুলোধুনো করতে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের। ৫৮ বলে দুজনে মিলে গড়েন ১১০ রানের জুটি। 

১২৬ রানের মাথায় হারমিত সিংয়ের বলে ডি কক (৪০ বলে ৭৪) ফিরলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চেপে ধরে যুক্তরাষ্ট্র। একই রানে ‘গোল্ডেন ডাক’ মারেন ডেভিড মিলার। এরপর রানের গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে আসে। বেশিক্ষণ টেকেননি মার্করামও। ১৪১ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি। ৩২ বলে ৪৬ রান করলেও সেটি ম্যাচের বিবেচনায় দ্রুতগতির ইনিংস ছিল না। ৪ জন ফেরার পর আর কোনো উইকেট হারায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। পঞ্চম উইকেটে ট্রিস্টান স্টাবসকে নিয়ে অপরাজিত ৫৩ রানের জুটি গড়েন হেনরিখ ক্লাসেন। ২২ বলে ক্লাসেন ৩৬ রান করলেও ১৬ বলে ২০ রানের বেশি করতে পারেননি স্টাবস। তাতে ১৯৪ রান তোলে প্রোটিয়ারা। 

দলের অন্যরা যখন রান বিলিয়েছেন অকৃপণভাবে, সেখানে দুর্দান্ত বল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সৌরভ নেত্রভালকার ও হারমিত সিং। ভারতীয় বংশোদ্ভূত সৌরভ ৪ ওভারে ২১ রানের বিনিময়ে ২টি ও হারমিত সমান ওভারে ২৪ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন।