নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে শেষটা রাঙাল শ্রীলংকা
দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের পর নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত; টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল শ্রীলংকার। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শেষের ম্যাচটি লংকানদের জন্য ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। তবুও একটি জয় নিয়ে বাড়ি ফিরতে চাইছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসরা। নেদারল্যান্ডসকে ৮৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে কাঙ্খিত সেই জয় পেল দলটি।
আজ শ্রীলংকা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচের এক ঘণ্টা আগে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ ও নেপাল। বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় মাঠে নামে বাংলাদেশ, সাড়ে ৬টায় শ্রীলংকা। বাংলাদেশি সমর্থকদের নজর দুই ম্যাচের দিকেই। কারণ, নেপালের বিপক্ষে দুর্ভাগ্যজনকভাবে হেরে গেলে টাইগারদের তাকিয়ে থাকতে হবে নেদারল্যান্ডসের ম্যাচের দিকে। এই ম্যাচে ডাচরা হারলে বা স্বল্প ব্যবধানে জিতলেও সুপার এইটে চলে যাবে বাংলাদেশ। শ্রীলংকার জন্য আনুষ্ঠানিকতা হলেও ডাচদের জন্য ম্যাচটি ছিল চ্যালেঞ্জের। তবে এই ম্যাচ চলাকালেই সুপার এইট নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। ডাচদের জন্যও তাই ম্যাচটি হয়ে পড়ে আনুষ্ঠানিকতার।
সেন্ট লুসিয়ার গ্রস আইলেটে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে লংকানরা। শ্রীলংকার ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরিও পাননি কোনো ব্যাটার। চার ব্যাটারের ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসে পাহাড়সম এই রান করেছে দলটি। এর মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল পাঁচে নামা চারিথ আসালঙ্কা। মাত্র ২১ বলে ৪৬ রান করেছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। ২৯ বলে সমান রান করেছেন ওপেনার কুশল মেন্ডিস।
১৫ বলে ১টি চার ও ২ ছক্কায় ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন অভিজ্ঞ তারকা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। আর দারুণ ক্যামিও খেলেছেন টুর্নামেন্টজুড়ে ব্যাট হাতে ব্যর্থ লংকান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ৬ বলে ১টি চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থেকেছেন ২০ রানে।
জবাব দিতে নেমে ২০ বল বাকি থাকতেই ১১৮ রানে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন ওপেনার মাইকেল লেভিট ও পাঁচে নামা অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। শ্রীলংকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন নুয়ান তুষারা।