অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্কটল্যান্ডের হারে সুপার এইটে ইংল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক
১৬ জুন ২০২৪, ১১:১৩
শেয়ার :
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্কটল্যান্ডের হারে সুপার এইটে ইংল্যান্ড

নিজেদের কাজটি সেরেই রেখেছিল ইংল্যান্ড। নামিবিয়াকে বৃষ্টি আইনে ৪১ রানে হারিয়ে ৫ পয়েন্ট নিশ্চিত করে জশ বাটলারের দল। তাতে তাতে সুপার এইট নিশ্চিত ছিল না তাদের। কারণ, এই ৫ পয়েন্ট নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার অপেক্ষায় ছিল স্কটল্যান্ড। তবে কোনো বিপদ হয়নি ইংলিশদের। স্কটল্যান্ডকে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাতে সুপার এইট নিশ্চিত হয়েছে ইংল্যান্ডের। 

ইংল্যান্ডের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে স্কটিশদের ১৮০ রান। সেই রান অতিক্রম করতে গিয়ে এক পর্যায়ে বিপদেই পড়েছিল অজিরা। তবে শেষমেশ জয়ই তুলে নিয়েছে মিচেল মার্শের দল। ২ বল বাকি থাকতে তুলে নিয়েছে ৫ উইকেটের জয়। তাতে ‘বি’ গ্রুপ থেকে অস্ট্রেলিয়ার পর নিশ্চিত হয় ইংল্যান্ডের সুপার এইট। 

সেন্ট লুসিয়ার গ্রস আইলেটে টস জিতে স্কটল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট হাতে স্কটিশদের হয়ে ঝড় তোলেন দলটির ওয়ান ডাউনে নামা ব্যাটার ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেন। ৩৪ বলে ৬০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে এই ব্যাটার ছক্কাই মেরেছেন ৬টি। অধিনায়ক রিচি বেরিংটনের ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। ২৩ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন ওপেনার জর্জ মুনশে। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান তোলে স্কটিশরা। 

১৮১ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতে বিপদেই পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৩৪ রানের মধ্যে হারিয়ে বসে ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক মার্শের উইকেট। দলীয় ৬০ রানের মাথায় ফেরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও। অজিদের এমন বিপদে তাদের চেয়ে তখন বেশি শঙ্কায় পড়েছে ইংল্যান্ডই। কারণ, আগেই সুপার এইট নিশ্চিত করা অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটি ছিল গুরুত্বহীন ম্যাচ। আর ইংল্যান্ডের টিকে থাকার সমীকরণ। 

তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইংল্যান্ডের শঙ্কা দূর করেন অজি ওপেনার ট্রাভিস হেড ও মিডল অর্ডারে নামা মার্কাস স্টোয়নিস। ৪৪ বলে এই দুজনে গড়েন ৮০ রানের জুটি। ম্যাচ থেকে তখনই ছিটকে যায় স্কটল্যান্ড। তখনো মিরাকলের আশায় ছিল স্কটিশরা। ১৪০ রানের মাথায় হেড (৪৯ বলে ৬৮) ও ১৫৫ রানে স্টোয়নিসকে (২৯ বলে ৫৯) ফিরিয়ে তার কিছুটা সম্ভাবনাও জাগিয়ে তুলেছিল দলটি। তবে সেই মিরাকল ঘটতে দেননি টিম ডেভিড। ছয় নম্বরে নেমে ১৪ বলে অপরাজিত ২৪ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এই তারকা। স্বস্তি পায় ইংল্যান্ডও।