এই মাহমুদউল্লাহকেই বাদ দিতে চেয়েছিল বাংলাদেশ, বিস্ময় হার্শার
শ্রীলংকার বিপক্ষে ২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেই ম্যাচজয়ী ছক্কা ভোলার কথা নয় বাংলাদেশি সমর্থকদের। সেই ম্যাচের সমীকরণের তুলনায় আজকের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ অত কঠিন ছিল না। তবে টানা উইকেট হারানো বাংলাদেশের আবারও প্রয়োজন হয়েছে মাহমুদউল্লাহর ক্যামিও। হতাশ করেননি ‘সাইলেন্ট কিলার’ও।
১৯তম ওভারে দাসুন শানাকার ফুলটস বলে মারা সেই ছক্কাই তো মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে খেলার। শেষ পর্যন্ত ১৩ বলে ওই ১ বাউন্ডারিতেই ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন রিয়াদ। দলও জয় পায় ২ উইকেটে। তাতে সুপার এইটের আশাও পোক্ত হলো দলটির।
কিন্তু এই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বছর দুয়েক আগের বিশ্বকাপেও ছিলেন ব্রাত্য। তবে হতোদ্যম হননি তিনি। কোনো আওয়াজ না করে নীরবে করেছেন অনুশীলন। তার ফলও পেয়েছেন। গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ছিলেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সর্বশেষ বিপিএলেও ফরচুন বরিশালের হয়ে ছিলেন দারুণ ফর্মে। বিশ্বকাপের আগেও যেখানে দলের বিবেচনায় ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ, সেখানে এখন তিনিই দলের অন্যতম ভরসা। অবশ্য এমন ক্রিকেটারকে দল থেকে বাদ দিতে চাওয়াটাই ভালো চোখে দেখছেন না ভারতের জনপ্রিয় ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে।
মাহমুদউল্লাহর ফিনিশিংয়ে মুগ্ধ হার্শা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘বিশ্বাসই হচ্ছে না, কিছুদিন আগেও এই মাহমুদউল্লাহকে বাদ দেওয়ার কথা ভেবেছিল বাংলাদেশ।’
---হার্শা ভোগলে। ছবি: সংগৃহীত
হার্শা প্রশংসায় ভাসিয়েছেন হৃদয়কেও। ২০ বলে ৪০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস এসেছে তার ব্যাট থেকে। তবে সাদা বলে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটা হিসেবে মেনে নিলেন লিটন দাসকেই। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ৩৮ বলে ৩৬ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন লিটন।
হার্শা লিখেছেন, ‘তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাপারে অনেক শুনেছি এবং সেগুলো আসলেই বাড়িয়ে বলা নয়। তাকে দেখে বিশেষ খেলোয়াড়ই মনে হয়। তবে বাংলাদেশের জন্য লিটন দাসের ফর্মে ফেরা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমার বিশ্বাস, সাদা বলে সে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার।’