ক্যারিবীয় ঝড়ের সামনে আজ ‘পুঁচকে’ পাপুয়া নিউগিনি
বিশ্বকাপের ওয়ার্ম আপ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের তুলোধোনা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। জয় পেয়েছে ৩৫ রানের। এবার ক্যারিবীয় ঝড় সামলানোর চ্যালেঞ্জ এখন পাপুয়া নিউগিনির সামনে। আজ মুখোমুখি লড়াইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে দুই দল। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। টুর্নামেন্টের সহ-আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজের এটাই প্রথম ম্যাচ।
টি-টোয়েন্টির বিশ্বমঞ্চে এটা দ্বিতীয় অংশগ্রহণ পাপুয়া নিউগিনির। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের দুইবারের চ্যাম্পিয়ন। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ২০ নম্বরে নিউগিনি। তালিকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থান চারে। ক্রিকেটের ছোট সংস্করণে এখন পর্যন্ত ৬১ ম্যাচ খেলা হয়েছে নিউগিনির। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের সংখ্যা ৮৮। এসব পরিসংখ্যানে স্পষ্ট যে আজকে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচটিতে ‘নিরঙ্কুশ’ ফেভারিট ক্যারিবীয়রা।
টি-টোয়েন্টিতে আজই প্রথম দেখা হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-নিউগিনি। পূর্বে দুই দল শুধু একটি ওয়ানডে খেলেছে। ছয় বছর আগে সেই ম্যাচে হার জুটেছিল ‘পুঁচকে’ নিউগিনির ভাগ্যে। এ যাত্রায় তেতিয়ে থাকা ক্যারিবীয়দের সামলাতে হবে তাদের। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেটের আগ্রাসনে ক্রমশই হ্রাস পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটীয় শক্তি। তারই নেতিবাচক প্রভাবে ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো তাদের ছাড়া হয়েছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ দুই আসরেও ছায়া হয়ে ছিল ক্যারিবীয়রা। ২০২১ সালে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। সবশেষ আসরে কাটা পড়েছিল প্রথম রাউন্ডে। ব্যর্থতার গণ্ডি পেরিয়ে সুদিনের প্রত্যাশায় স্বাগতিকরা। কোচ ড্যারেন সামি এবং অধিনায়ক রুভম্যান পাওয়েলের যুগে দেশের মাটিতে ভক্তদের মুখে শিরোপা হাসি ফেরানোর প্রত্যয় ক্যারিবীয় ক্রিকেটারদের।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দলীয় প্রত্যাশা এবং বড় স্বপ্নের কথা হাসিমুখে ব্যক্ত করেছেন নিকোলাস পুরান। তিনি বলেন, ‘দুই বছর পর এখানে ফিরে এসে, সবাই সেই বিশেষ অনুভূতি পেতে চায় যখন আমরা সেই দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিলাম। আমি মনে করি, সবাই সেই মুহূর্তটি আবার চায়। তারা সেই বিজয়ী অনুভূতির অংশ হতে চায়। আমাদের ভক্তদের সামনে এটি নিশ্চিত করতে আরও বেশি বিশেষ কিছু হবে।’
২০২২ সালের মে মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাদা বলের অধিনায়ক হয়েছিলেন পুরান। পদত্যাগ করেন ওই বছরের নভেম্বরে। এখন তিনি পাওয়েলের নেতৃত্বে নির্ভারচিত্তে ভক্তদের গর্বিত করার স্বপ্ন দেখছেন। তার কথায়, ‘আমরা জানি আমাদের ক্রিকেট অনুরাগীরা আমাদের নিয়ে গর্বিত এবং এখন আমাদের সামনে তাদের খুশি করার সুযোগ রয়েছে। দলেও অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে, যারা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে এবং বোঝে যে পেশাদার হওয়ার জন্য কী প্রয়োজন।’
ক্যারিবীয় ক্রিকেটাররা যখন দলীয় শক্তিতে একীভূত হওয়ার প্রচেষ্টায়, তখন নিউগিনির আশা-ভরসার কেন্দ্রে অধিনায়ক আসাদ ভালা এবং সহ-অধিনায়ক চার্লস আমিনি। তাই ম্যাচ শুরুর আগেই যেন এক ধরনের জয় লেখা হয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নামে। এটা পরিবর্তন করতে পারবে পাপুয়া নিউগিনি? যদি কোনোভাবে অসাধ্য সাধন করে ফেলে পুঁচকে দলটি, তাহলে টুর্নামেন্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অঘটনের জন্ম হবে।