রোহিত-কোহলির স্ত্রীকে দেখলেই চাপ বোঝা যায়, বললেন গাঙ্গুলী
ক্রিকেট খেলা দেশগুলোর মধ্যে তো বটেই, বিশ্বেরই সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ ভারত। দেশটিতে ১৪০ কোটিরও বেশি মানুষের বাস। ক্রিকেটকে ধ্যানজ্ঞান বানানো এই দেশটিতে তাই ক্রিকেটারদের প্রতি প্রত্যাশাও চরমে। এত মানুষের প্রত্যাশার চাপ নিয়েই ক্রিকেট মাঠে লড়েন রোহিত শর্মা বা বিরাট কোহলিরা।
খেলোয়াড়দের প্রতি এত প্রত্যাশার চাপ যে হিতে বিপরীতও হয়, সেটিই মনে করিয়ে দিলেন ভারতের সফল অধিনায়কদের একজন সৌরভ গাঙ্গুলী। আরও একটি আইসিসি টুর্নামেন্ট দেরগোড়ায়। শিরোপা জিততে রাহুল দ্রাবিড়ের খেলোয়াড়দের চাপহীন থাকার গুরুত্ব সম্পর্কে কথা বলেছেন গাঙ্গুলি। ভারতের ক্রিকেটারদের এই চাপ গিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও পড়ে। রোহিত শর্মার স্ত্রী রিতিকা সাজদেহ ও কোহলির স্ত্রী আনুশকা শর্মার প্রসঙ্গ টেনে সেকথাও বললেন পশ্চিমবঙ্গের এই ক্রিকেটার।
রেভস্পোর্টজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গাঙ্গুলি বলেন, ‘যদি আমি রাহুলকে (দ্রাবিড়) কিছু বলি...সে একজন চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার ও ক্রিকেট মস্তিষ্ক...(বিশ্বকাপ জিততে) চাপহীন হতে হবে। যখন আমি রোহিতের স্ত্রীকে গ্যালারিতে দেখি, তখনই বোঝা যায় কত চাপে আছে সে। যখন আমি বিরাটের স্ত্রীকে দেখি, আমি বুঝি কী ধরনের চাপ সে অনুভব করছে। আমরা ভারতীয়রা বেশি চাপ দিয়ে ফেলি। আমি উদাহরণ হিসেবে ২০০৩ (বিশ্বকাপ) সালের কথাই চিন্তা করি। যদি কিছু (বলতে হয়)... বড় ম্যাচ খেলার সময় আমাদের চাপমুক্ত থাকতে হবে। স্বাধীনতা নিয়ে খেলো’
---সৌরভ গাঙ্গুলী। ছবি: সংগৃহীত
গাঙ্গুলির নেতৃত্বে ২০০৩ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। ২০২৩ সালের মতো সেই টুর্নামেন্টেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে গিয়েছিল দলটি। গাঙ্গুলি মনে করেন, চাপহীন থাকতে পারলে দলের আরও ভালো করার সুযোগ ছিল।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পরামর্শ হিসেবে গাঙ্গুলি বলেন, ‘২০০৩ বিশ্বকাপে ফাইনালে ভারত হেরে গেলেও আমি বলব, ভারত সেরা দল ছিল। প্রতিযোগিতাটিতে আমরা দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছি। ফাইনালে যদি আমরা একটু চাপমুক্ত হতে পারতাম! আমি এটাই (আসন্ন বিশ্বকাপে) দেখতে চাই যে আমরা স্বাধীনভাবে খেলি। আমাদের নিজেদের ওপর খুব বেশি চাপ দিয়ে দিও না।’