সালাউদ্দিন-মুর্শেদীদের পদত্যাগ চান সাবেক ফুটবলাররা
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা সম্প্রতি বাফুফের পাঁচজনকে শাস্তির আওতায় এনেছে। এর মধ্যে অর্থ জরিমানা হয়েছে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর। ফিফার তদন্তে নাম ছিল বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনেরও। যাইহোক, এই ঘটনার পর আবারও কাজী সালাউদ্দিন ও সালাম মুর্শেদীদের পদত্যাগ দাবি জানালেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড়রা।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেছেন তারা। এর আগে গত বছর যখন ফিফা কর্তৃক বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, সেসময়ও বাফুফের শীর্ষ কর্তাদের অপসারণ দাবি করেছিলেন দেশের সাবেক ফুটবলাররা।
‘ঘোর অমানিশায় দেশের ফুটবল, দুর্নীতিবাজ ও ব্যর্থ বাফুফে কর্মকর্তাদের অপসারণ চাই’ নামক ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার আব্দুল গাফফার, দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল, শামসুল আলম মঞ্জু, আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু, আবু ইউসুফ, মো. সুলতান, কাজী আনোয়ার, সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির, আরমান মিয়া ও বিপ্লব ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বাফুফের নানা অসঙ্গতি ও সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফিফা রিপোর্টে ফেডারেশন কর্মকর্তাদের ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরেছেন তারা। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফুটবলার আব্দুল গাফফার বলেছেন, ‘ফুটবল ফেডারেশনের দুই শীর্ষ ব্যক্তি সাবেক ফুটবলার। অথচ আমাদের ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা ফিফার জরিমানায় পড়ছে এবং স্টাফরা নিষিদ্ধ হচ্ছে। যা অত্যন্ত লজ্জার ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। আমরা এর প্রতিবাদস্বরূপ এখানে একত্রিত হয়েছি। তারা নৈতিকভাবে পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। ফুটবলের স্বার্থে তাদের সরে যাওয়া উচিত। এটাই আমাদের দাবি।’
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের একহাত নিয়েছেন আশরাফ উদ্দিন চুন্নু। তিনি বলেন, ‘ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে তাকেও এর দায় নিতে হবে। দায় হিসেবে পদত্যাগ করা উচিত।’
সাবেক তারকা ফুটবলার আরমান মিয়া বলেন, ‘আমরা গত বেশ কয়েক বছর ধরেই বাফুফের অসঙ্গতি নিয়ে কথা বলছি। আমাদের কথা কেউ কর্ণপাত করেনি। এখন স্বয়ং ফিফাই বলছে বাফুফের অনিয়মের বিষয়গুলো। এটা আমাদের ফুটবল সমাজ ও দেশের জন্য খুবই লজ্জার।’ বাফুফের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার অপসারণের বিষয়ে নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের সহায়তা আশা করছেন সাবেক ফুটবলাররা।