উৎসে কর বাড়াতে জোর

আবু আলী
২৯ মে ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
উৎসে কর বাড়াতে জোর


দিন দিন বড় হচ্ছে দেশের অর্থনীতির আকার। কিন্তু সে তুলনায় বাড়ছে না রাজস্ব আহরণ। ২০২৩ সালে দেশের কর-জিডিপি অনুপাত ৮ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০১২ সালে যা ছিল ৯ দশমিক ১ শতাংশ। অর্থাৎ, সম্প্রতি বছরগুলোতে প্রশংসনীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সত্ত্বেও রাজস্ব আহরণে দুর্বলতা ঘোচেনি। বিষয়টি মাথায় নিয়ে কর্মপন্থা ঠিক করে এগোচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে উৎসে কর কর্তন থেকে আরও রাজস্ব আদায়ের পরিকল্পনা নিয়েছে এনবিআর। বর্তমানে এনবিআর আয়কর বা প্রত্যক্ষ কর থেকে বছরে যে পরিমাণ রাজস্ব আহরণ করে থাকে, তার ৬০ শতাংশ আসে উৎসে কর কর্তন থেকে। আগামী বাজেটে এই খাত থেকে ৬৫ শতাংশ রাজস্ব সংগ্রহ করার পরিকল্পনা আয়কর বিভাগের। তাই আগামী অর্থবছর থেকে উৎসে কর অঞ্চলের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

এদিকে কর-জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, আয়করযোগ্য হলেও অনেক মানুষ নিয়মিত কর দেন না। রাজস্ব বাড়াতে আয়কর আদায়ে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। ব্যক্তি পর্যায়ে রাজস্ব আদায় বছরে আরও ৬৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো সম্ভব। এক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদি কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন খাতে দেওয়া করছাড় কমালে আগামী অর্থবছর অতিরিক্ত ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব। পাশাপাশি কর কাঠামোতে সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে।

এনবিআর সূত্র জানায়, আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আগামী অর্থবছরে বাড়তি ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আয়কর আদায় করতে হবে। লক্ষ্য অর্জনে এনবিআর ‘ট্যাক্স ডিডাকশন অ্যাট সোর্স’ (টিডিএস) বা উৎসে কর কর্তনের দিকে নজর দিতে চাচ্ছে। বর্তমানে ৫০টির বেশি খাত থেকে উৎসে কর আদায় করে এনবি, যা মোট আয়করের প্রায় ৬০ শতাংশ।