পরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ মে ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
পরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ

ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহাপরিচালকের সভায় যথাসময়ে উপস্থিত না হওয়া আর অনুমতি ছাড়া অফিস ত্যাগ করে মন্ত্রণালয়সহ অন্যত্র যাওয়া তার একটি সাধারণ ব্যাপার। এ ছাড়া বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে মহাপরিচালকের আদেশ তোয়াক্কা না করা ও অতিরিক্ত মহাপরিচালকের সঙ্গে অসদাচরণের ঘটনাও ঘটিয়েছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে আব্দুল্লাহ আল মামুন মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে ডাকা ত্রৈমাসিক সভায় উপস্থিত হননি। এ জন্য তাকে অধিদপ্তর শোকজ করে। পরে তাকে কাজে মনোযোগী ও যত্নবান হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

গত বছর জুন মাসে মহাপরিচালক হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করছিলেন। ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু। সেই সময় আব্দুল্লাহ আল মামুন সেলিনা বানুর কক্ষে প্রবেশ করে অবৈধভাবে কয়েক ব্যক্তির মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) জন্য চাপ প্রয়োগ করেন এবং হুমকি প্রদান করেন, যা পাসপোর্ট অফিসে রীতিমতো হইচই ফেলে দেয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মচারীর কাছ থেকে জানা যায়।

এ ঘটনার আগেও পরিচালক মামুনের বিরুদ্ধে এমআরপি জমা এবং বিতরণে অনিয়মের জন্য উচ্চপর্যায়ের তদন্ত সম্পন্ন হয়। সেই তদন্তে তার বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত অনিয়মের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে মন্ত্রণালয়ের ছত্রছায়ায় তিনি বেঁচে যান। এ ছাড়া চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট এবং ভিসা অফিসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে যা তিনি প্রধান কার্যালয়কে কিংবা মহাপরিচালককে জানাননি।

২০২২ সালের ২৩ জুন আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে সাড়ে তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। একই কর্মকর্তা মামলাটির তদন্তের দায়িত্বও পেয়েছিলেন। পরে তিনি পদোন্নতি পেয়ে পরিচালক হয়ে এলপিআরে চলে গেলে মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান দুদকের উপপরিচালক মশিউর রহমান।

জানা যায়, মামলাটি তদন্তের পর গত বছরের শেষ দিকে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এখন দুদকের আইন শাখা থেকে এ প্রতিবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেখান থেকে সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।