ফুটবলে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধের দাবিতে ভোট যে কারণে পেছাল

স্পোর্টস ডেস্ক
১৭ মে ২০২৪, ১৬:৩৭
শেয়ার :
ফুটবলে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধের দাবিতে ভোট যে কারণে পেছাল

ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বর হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গত ৮ মাস ধরে চালানো এ হামলায় এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফিলিস্তিনের ফুটবলও। এসব ঘটনাকে সামনে এনে ফুটবল থেকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন ফিলিস্তিন ফুটবল ফেডারেশনের (পিএফএ) প্রধান জিবরিল রাজোউব। 

তবে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত আরও পরে নেবেন বলে জানিয়েছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ইসরায়েলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টির গুরুত্ব স্বীকার করলেও এখনই ভোট আয়োজনেও অস্বীকৃতি জানান ইনফান্তিনো। তিনি জানিয়েছেন, সংস্থার ৩৭ সদস্যের গভর্নিং কাউন্সিল আগামী ২ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে কী করতে হবে। খবর নিউইয়র্ক টাইমস ও আল জাজিরার। 

আজ শুক্রবার বেইজিংয়ে ফিফার ৭৪তম সভায় সময় নেওয়ার কথা জানান ইনফান্তিনো। ফিফা প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ইসরায়েলকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আইনি পরামর্শও নেওয়া দরকার। 

ইসরায়েলের সদস্যপদ স্থগিতাদেশের আহ্বান জানানো বার্তায় বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনে বিশেষ করে গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে ইসরায়েল।’ যা ফিফার মানবাধিকার ও বৈষম্যে আইনেরও লঙ্ঘন। 

ইনফান্তিনো জানিয়েছেন, পরিস্থিতির (গাজায় ইসরায়েলের হামলা) আগামী ২৫ জুলাই ফিফার শীর্ষ বোর্ডগুলোর একটি সভা আহ্বান করবেন। সেই সভার আগে ফিফা বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ করতে বলবে যে ইসরায়েল গভর্নিং বডির নিয়ম লঙ্ঘন করছে কি না। 

যুদ্ধ বিবেচনায় এর আগে সদস্যপদ স্থগিত করার ইতিহাস ফিফার আছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জেরে রাশিয়াকে ফুটবলীয় প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ করে ফিফা। এছাড়া রাশিয়ার ক্লাবগুলোকে উয়েফার প্রতিযোগিতা থেকেও নিষিদ্ধ করা হয়। 

রাজোউব বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনের ফুটবল পরিবারসহ ফিলিস্তিনি জনগণ নিদারুণ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে আছে।’ ইসরায়েলকে নিষিদ্ধের প্রস্তাব করায় নিজেও ইসরায়েলের হুমকিতে আছেন বলে জানান তিনি। তবে কোনো অন্যায়ের সামনেই মাথা নত না করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। 

এদিকে, ইসরায়েলকে ফুটবলে নিষিদ্ধ করতে ফিলিস্তিনি ফেডারেশনের দেওয়া প্রস্তাবকে ‘নিষ্ঠুর’ বলেছেন ইসরায়েলের ফুটবল প্রধান শিনো মোশে জুয়ারেস। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের ক্ষতি ডেকে আনতে আবারও আমরা পিএফএর নিষ্ঠুর রাজনৈতিক ও অন্যায় প্রচেষ্টার শিকার।’