যমুনা নদীর পাড়ে মিলল নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পাড়ের ছোট গর্ত থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের পরদিন আজ রবিবার উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের নদী পাড়ের একটি গর্ত থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। নিহত দুই শিশু সম্পর্কে খালাতো ভাই।
নিখোঁজ দুই ভায়ের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলো- উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের রুবেল হোসেনের ছেলে আবু বক্কার (৪) ও তার খালাতো ভাই ইয়াসিন (৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুবেল হোসেন গতকাল শনিবার তার ছেলে আবু বক্কর ও তার শ্যালিকার ছেলে ইয়াসিনকে নিয়ে যমুনা নদীর পাড়ে ঘুরতে যান। এ সময় আবু বক্কর ও তার খালাতো ভাই ইয়াসিন নদী পাড়ে বালি দিয়ে খেলা করছিল। এরপর তাদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জালালপুর গ্রামের আলহাজ আলী বলেন, যমুনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষায় বাঁধ নির্মাণের জন্য ব্লক তৈরির কাজ করা হচ্ছে। সেই ব্লক নির্মাণ এলাকায় ছোট গর্তে পড়ে ছিল দুই শিশুর মরদেহ। পরে ঘটনাটি পুলিশকে অবগত করা হয়।
নিহত আবু বক্কারের বাবা রুবেল হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে ও শ্যালিকার ছেলেকে নিয়ে শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুরে মামা শ্বশুরের বাড়িতে বেড়াতে যাই। শনিবার সকালে আমার ছেলে ও আমার শ্যালিকার ছেলে নদী পাড়ে বালির মধ্যে খেলা করছিল। এরপর থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। সবার ধারণা ছিল, তারা নদীর পানিতে ডুবে গেছে। ঘটনাটি পুলিশকে জানাই। আজ সকালে ছেলের সন্ধানে আমি উল্লাপাড়ায় যাই। দুপুরে আমাকে ফোন করে জানানো হয়, ছেলেকে খুঁজে পাওয়া গেছে। তারা অসুস্থ। ঘটনাস্থলে এসে দেখি নদীর পাড়ে ব্লকের গর্তে তাদের মরদেহ পড়ে আছে।’
এনায়েতপুর থানার ওসি জানান, মরদেহ দুটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়দাতদন্ত রিপোর্ট আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।