আইপিএলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মেলাতেই চান না শান্ত

স্পোর্টস ডেস্ক
১২ মে ২০২৪, ১৬:৪৩
শেয়ার :
আইপিএলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মেলাতেই চান না শান্ত

চলতি আইপিএলে ছুটছে রানের বন্যা। টি-টোয়েন্টিতে একসময়ের আকাঙ্খিত দুই শ রান হচ্ছে নিয়মিতই। এই সংস্করণে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভেঙে প্রায় তিন শ ছুঁইছুঁই রানও দেখা গেছে। সেখানে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজে দেড় শ রান করতেই ধকল পোহাতে হয়েছে বাংলাদেশকে। জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষে রান কম হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হয়েছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। তবে আইপিএলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ম্যাচকে কোনোভাবেই মেলাতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক। 

সিরিজে রান কম হয়েছে কি না এমন প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘আমার তো মনে হয় না (রান কম হয়েছে)। আইপিএল যে উইকেটে হচ্ছে...আইপিএলের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল মেলানোই যাবে না। আমার মনে হয় গত বছরের পিএসএলেও (পাকিস্তান সুপার লিগ) এরকম দুইশ প্লাস রান হয়েছে, আড়াইশ রান হয়েছে। কিন্তু ইন্টারন্যাশনালে আমি যতদূর জানি, ১৬০, ১৭৫, ১৮০; দুইশ রান যদি কোনো টিম করে এটা খুব ভালো একটা স্কোর। সেটা সচারচর দেখা যায় না। আমার মনে হয় বিশ্বকাপে এরকমই রান হবে। আমার মনে হয় রান ১৬০ থেকে ১৮০’র ভেতরেই থাকবে, ভালো উইকেটে। এর মধ্যেই বোলারদের ডিফেন্ড করতে হবে বা ব্যাটারদের চেজ করতে হবে। তাই আমার মনে হয় না আইপিএলের সঙ্গে মেলানোটা যৌক্তিক হবে।’

সিরিজে তৃপ্তির জায়গা নিয়ে শান্ত বলেন, ‘অবশ্যই ভালো একটা সিরিজ গিয়েছে। সিরিজ জিতলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তৃপ্তির জায়গা বলতে, আমরা যেসব এক্সপেরিমেন্ট করতে চেয়েছিলাম যেসব বিষয় আমাদের দেখার প্রয়োজন ছিল, যেমন আমরা ক্লোজ ম্যাচ জিতেছি, টপ অর্ডাররা একটা ম্যাচ খুব ভালো শুরু এনে দিয়েছে। আজকের ম্যাচে যদি দেখেন মিডল অর্ডাররা ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছে। এরকম বেশ কিছু জায়গা আছে, রিশাদ পুরো সিরিজে বেশ ভালো বোলিং করেছে। এমন যদি চিন্তা করা যায় অবশ্যই বেশ খিছু পজেটিভ জিনিস আছে। আমরা যেসব আশা করেছিলাম। আমরা তার কাছাকাছি যেতে পেরেছি।’

বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যাটারের স্ট্রাইকরেটই আন্তর্জাতিক মানের নয়। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে এমন ধীরগতির ব্যাটিং কতটা কার্যকরী হবে সেটা নিয়ে তাই সংশয়ের শেষ নেই। তবে স্ট্রাইকরেটের জন্য বাংলাদেশের উইকেটই মূল ব্যাপার বলে মনে করেন শান্ত। 

বাংলাদেশ অধিনায়কের ভাষায়, ‘আমার কাছে সেটা (স্ট্রাইকরেট সমস্যা) মনে হয় না। আমাদের দেশে স্ট্রাইকরেট নিয়ে অনেক কথা হয়। আমরা কিন্তু রিসেন্টলি ভালো উইকেটে খেলা শুরু করেছি। শ্রীলংকার বিপক্ষে যে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলেছি, ওটা ভালো উইকেট ছিল। কিন্তু এই জিনিসটা সময় দিতে হবে। আমরা যদি লম্বা সময় ধরে ভালো উইকেটে খেলা শুরু করি, তাহলে দেখবেন সবাই ভালো স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করা শুরু করেছি। এটা শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হলেই হবে না, বিপিএলের মতো ঘরোয়া ক্রিকেটেও হতে হবে। 

ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম চার ম্যাচে টানা জয় পেলেও সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের দেওয় ১৫৮ রানের লক্ষ্য রোডেশিয়ানরা ৯ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই অতিক্রম করেছে। তবে এই ম্যাচে হারের চেয়েও বেশি চিন্তা পেসার তাসকিন আহমেদের চোট। বিশ্বকাপে তাসকিনের চোটমুক্ত থাকা বাংলাদেশের খুব দরকার। শেষ ম্যাচ না খেললেও সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন তিনিই। ৪ ম্যাচে ৯.১২ গড় নিয়ে তার শিকার ৮ উইকেট।