টি-টোয়েন্টিতে ‘টেস্ট ব্যাটিং’ করেও বিপর্যয়ে জিম্বাবুয়ে
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টসে হেরে ব্যাট করছে জিম্বাবুয়ে। তবে খেলা টি-টোয়েন্টি হলেও জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছে অপেক্ষাকৃত ধীরগতির খেলা টেস্ট খেলতে নেমেছে তারা। তাতেও নিজেদের উইকেট রক্ষা করতে পারছে না দলটি। একের পর এক হারাচ্ছে উইকেট।
প্রথম ১০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৮ রান করেছে তারা। অর্থাৎ, ওভারপ্রতি রান তোলার হার মাত্র ৩.৮। উইকেটে ক্রেইগ আরভিনের (১৪ বলে ৯*) সঙ্গে আছেন ব্রায়ান বেনেট।
এর আগে দলীয় সপ্তম ওভারে ৩০ বলে মাত্র ১৭ রান করে আউট হয়েছেন জয়লর্ড গাম্বি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে ক্যাচ দেন তিনি। আরেক ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানি ৪ বলে ২ রান করে তাসকিন আহমেদের করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন। দশম ওভারের প্রথম বলে রিশাদ হোসেনের বলে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ৮ বলে মাত্র ৩ রান করেন তিনি। একই ওভারে কোনো রান না করেই ফেরেন ক্লাইভ মানান্দে।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ১২৪ রানেই গুটিয়ে যায় রোডেশিয়ানরা। ১২৪ রান করলেও শুরুতে জিম্বাবুয়ের অবস্থা ছিল শোচনীয়। ৪২ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল তারা। সেখান থেকে ৭৫ রানের জুটি গড়েন মাদান্ডে ও ওয়েলিংটন। ১২৫ রানের লক্ষ্যে নেমে একেবারে শুরুতেই লিটন দাসের উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটের সহজ জয় পায় টাইগাররা।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলছে না জিম্বাবুয়ে। বাছাইপর্বে তাদের হারিয়ে টুর্নামেন্টে জায়গা করে নিয়েছে উগান্ডা। অন্যদিকে, বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলছে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে। বিশ্বকাপের মূল অভিযান শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে একটি ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও খেখেলবে বাংলাদেশ।