উন্নতমানের এসি তৈরি হচ্ছে দেশে
গ্রীষ্মের তীব্র গরম এবার শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রকে (এসি) বিলাসী থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য বানিয়েছে। এসির শোরুমগুলোতেও এবার ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। ক্রয়ক্ষমতা মাথায় রেখে বিভিন্ন দামের এসি বিক্রি করছে কোম্পানিগুলো। এক সময় দেশের চাহিদার সব এসি আমদানি হতো। তবে এখন চাহিদার সিংহভাগ পূরণ হচ্ছে দেশে তৈরি এসিতে।
খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, গত দুই বছরে এসির চাহিদা বেড়েছে। বাণিজ্যিক ভবন, অফিস ও শিল্প খাত ছাড়াও আবাসিক ভবনেও এসির ব্যবহার বাড়ছে। বছরে এখন প্রায় ছয় লাখ ইউনিট এসি বিক্রি হয়। চলতি বছর বিক্রি ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।
দেশের এসি শেয়ার মার্কেটের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত ওয়ালটন এয়ার কন্ডিশনারের চিফ বিজনেস অফিসার মো. তানভীর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, ক্রেতারা কম দামে সেরা মানের পণ্যটি কিনতে চায়। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সাশ্রয়ী দামে আন্তর্জাতিক মানের সর্বোচ্চসংখ্যক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের পণ্য বাজারে ছেড়েছি আমরা। এগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তিসম্পন্ন। দেশের বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও এসি রপ্তানি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
দেশে এখন দেশি ও বিদেশি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের এসি তৈরির কারখানা রয়েছে বলে জানান যমুনা ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেডের পরিচালক (মার্কেটিং) সেলিম উল্যা সেলিম। তিনি বলেন, আগে বড় বিভাগীয় শহরগুলোয় যমুনা এসির বিক্রি বেশি ছিল। সময়ের পথপরিক্রমায় যমুনা এসির গ্রাহক এখন বড় বড় শহর থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা পর্যন্ত রয়েছে। বিনিয়োগের একটা বড় অংশ প্রতিষ্ঠানগুলো এখন এসি উৎপাদনে ব্যয় করছে। যমুনা ইলেকট্রনিকস শুরু থেকে মানসম্পন্ন এসি উৎপাদনের মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে দেশের ভোক্তাদের কাছে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে।
দেশে এসির বাজার বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি জানান মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. সামসুদ্দোহা শিমুল। এই বাজার প্রতিনিয়ত বাড়ছে জানিয়ে তিনি আমাদের সময়কে বলেন, সন্তোষজনক বিষয় হচ্ছে, এসির বাজারে দেশীয় ইলেকট্রনিকসের আধিপত্য বেশি। এসির বাজারে দেশীয় ইলেকট্রনিকস কোম্পানিগুগুলো মোট বাজারের ৭০ শতাংশ দখল করে আছে। দেশের বাজারে মিনিস্টার এসির শেয়ারও বেশ ভালো।