বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ভিশনের ‘জেনুইন ডুয়েল ইনভার্টার’ এসি
এয়ারকন্ডিশনার (এসি) আর বিলাসী পণ্য নয়। একসময় কেবল উচ্চবিত্তরাই বাসাবাড়িতে এটি ব্যবহার করতেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় উচ্চমধ্যবিত্ত, এমনকি মধ্যবিত্তদের ঘরেও জায়গা করে নিয়েছে এসি। প্রয়োজনের তাগিদেই অন্যতম অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে এই যন্ত্র। প্রচণ্ড গরম থেকে রেহাই পেতে মানুষ কিনছেন এয়ারকন্ডিশনার। স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের এসি বাজারজাত করে সব শ্রেণির মানুষের মনে আস্থা অর্জন করে নিয়েছে। ব্যতিক্রম নয় দেশের অন্যতম বৃহৎ আরএফএল গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ভিশন ইলেকট্রনিকসও।
প্রতিষ্ঠানটি দেশেই এসি উৎপাদন করছে। শুধু তাই নয়, দেশের চাহিদা মিটিয়ে ভিশন এসি এখন রপ্তানি শুরু হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ বর্তমানে ১৪৫টির বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করে। ২০২২ সালে আফ্রিকায় পণ্য পাঠানোর মাধ্যমে ভিশন তার রপ্তানির যাত্রা শুরু করে।
ভিশন এসির অন্যতম ফিচার হচ্ছে, ‘ডুয়েল ইনভার্টার’ টেকনোলজি, যা ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। তাই সারাদিন এসি চালিয়ে
রাখলেও বিদ্যুৎ খরচ হবে সীমিত। আর ইনভার্টারের কারণে এই এসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুৎ খরচ কম করবে। ভিশন এসিতে শতভাগ কপার কনডেন্সার ব্যবহার করা হয়, যা এসির দীর্ঘস্থায়িত্ব বাড়ায়।
কী এমন আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে ভিশনের এসিতে? কেন এত জনপ্রিয়? ভিশন এসির নির্বাহী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. নুর আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের কাছে আন্তর্জাতিকমানের আধুনিক টেকনোলজিসম্পন্ন এসি পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা আমাদের এসিতে জেনুইন ডুয়েল ইনভার্টার টেকনোলজি ব্যবহার করি, যা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। শতভাগ কপার কনডেনসার ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় ক্রমেই আমাদের এসির চাহিদা বাড়ছে।’
আরও পড়ুন:
উন্নতমানের এসি তৈরি হচ্ছে দেশে
নুর আলম আরও বলেন, ‘দেশের মানুষের চাহিদা ও ক্রয়ক্ষমতাকে গুরুত্ব দিয়ে সর্বাধুনিক এসি তৈরিতে কাজ করছি আমরা। ক্রেতাদের বিক্রয়োত্তর সেবার অংশ হিসেবে আমরা এসি ইনস্টলেশনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদিসহ ৮ হাজার টাকা সমমূল্যের সেবা সম্পূর্ণ ফ্রি দিই। এ ছাড়া রয়েছে ১০ বছরের ওয়ারেন্টি সার্ভিস। ভয়েস কন্ট্রোল, ওয়াইফাই কন্ট্রোলের মতো অ্যাডভান্স টেকনোলজি সমৃদ্ধ ভিশন এসি গুণগত মান দিয়ে অল্প সময়েই স্থান করে নিয়েছে ক্রেতাদের মনে।’