সাবেক ক্রিকেটারদের সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হার্দিক পান্ডিয়া
চলতি আইপিএলে ক্রিকেটারদের ব্যাটে চলছে রানের জোয়ার। দুই শ কিংবা আড়াই শ রানও যেন নিয়মিত ঘটনা। সেখানে গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্সের দেওয়া ১৭০ রানের লক্ষ্যও অতিক্রম করতে পারেনি হার্দিক পান্ডিয়ার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেও এমন হারে হার্দিকের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গ্রায়েম স্মিথ, শেন ওয়াটসন ও ইরফান পাঠানের মতো সাবেক ক্রিকেটাররা।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এদিন প্রথমে ব্যাট করে ১৬৯ রানে অলআউট হয় কলকাতা। এক পর্যায়ে ৫৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল কলকাতা। সেখান থেকে ৮৩ রানের জুটি গড়ে দলকে উদ্ধার করেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও মনীশ পান্ডে। শেষ পর্যন্ত ১৬৯ রান করে কলকাতা। জবাব দিতে নেমে মুম্বাইয়ের টপ অর্ডারও সুবিধা করতে পারেনি। ৭১ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হারায় দলটি। যদিও সূর্যকুমার যাদবের ৩৫ বলে ৫৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে সেই বিপর্যয় কাটায় মুম্বাই। তবে ১২০ রানের মাথায় সূর্যকুমারের বিদায়ের পর আবার বিপর্যয় শুরু হয়। ২৫ রানের মধ্যেই শেষ ৪ উইকেট হারায় দলটি। শেষের দিকে বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন কলকাতার মিচেল স্টার্ক।
ম্যাচে হার্দিকের অধিনায়কত্বের সমালোচনা করেছেন ইরফান পাঠান। ভারত যখন ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে তখন নামান ধীরের মতো অনভিজ্ঞ বোলারের হাতে বল তুলে দেওয়ার ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।
ইরফান বলেছেন, ‘মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের গল্প এখানেই শেষ। কাগজে-কলমে এই দল খুবই ভালো ছিল কিন্তু এটার পরিচালনা ভালো হয়নি। হার্দিক পান্ডিয়ার অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবশ্যই ঠিক আছে। যখন তুমি কলকাতাকে ৫৭-৭ করে ফেলেছ, তখন নামান ধীরকে পরপর ৩ ওভার করানোর দরকার ছিল না। তোমাকে দলের মূল বোলারদের আনা দরকার ছিল তুমি ষষ্ঠ বোলারকে ৩ ওভার করিয়েছ। মনীশ পান্ডে ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার শক্ত জুটি গড়েছে। তুমি তাদেরকে ১৫০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারতে, ১৭০ করতে পারত না।’
ম্যাচ শেষে ওয়াটসন বলেছেন, ‘৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আজ রাতে কলকাতার জেতার কোনো অধিকারই ছিল না...বোলিং পরিবর্তন বা ব্যাটিং লাইনআপে পরিবর্তনসহ কিছু সিদ্ধান্ত আশ্চর্যজনক ছিল যা কলকাতাকে বিপদের মুখ থেকে সুবিধাজন স্থানে যেতে সাহায্য করেছে।’
স্মিথ বলেছেন, ‘হার্দিক আসলেই সংগ্রাম করছে। তাকে দেখেই মনে হচ্ছে, অনেক চাপের মধ্যে আছে সে...তাদের ব্যাটিং লাইনআপ দেখে মনে হচ্ছিল তারা বিভ্রান্ত...নামান ধীরকে ৩ নম্বরে নামানোয় সব এলোমেলো হয়ে গেছে। তাদের উচিত ছিল, তিলককে তিনে নামানো, এরপর সূর্যকুমারকে চারে, হার্দিককে পাঁচে ও টিম ডেভিডকে ছয়ে নামানো। এরপর বোলিং ইউনিট ইউনিট নামতো।’