ভারতের বিশ্বকাপজয়ী কোচ কেন পাকিস্তানের দায়িত্ব নিলেন
২৮ বছর পর ২০১১ সালে ভারতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানোর পেছনের কারিগর গ্যারি কারস্টেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই ক্রিকেটারের তত্ত্বাবধানেই ক্রিকেটের সবচেয়ে শিরোপা জেতে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। এবার ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাদা বলের কোচ হলেন কারস্টেন। কেন এই দলের কোচ হিসেবে এসেছেন তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পডকাস্টে পাকিস্তানের কোচ হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন কারস্টেন। বলেন, ‘সাদা বলের ক্রিকেটে পাকিস্তান জাতীয় পুরুষ দলের কোচ হওয়ার সুযোগ পাওয়া এবং আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ পাওয়াটা চমৎকার সৌভাগ্যের বিষয়, যেটা আমি কিছুদিনের জন্য পাইনি। এটা একটা বিরাট সম্মানের ব্যাপার। আমি সুযোগের অপেক্ষায় আছি এবং আশা করছি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পাকিস্তানের জন্য কিছু করতে পারব।’
কেন পাকিস্তানকেই বেছে নিলেন সেই প্রসঙ্গে কারস্টেন বলেন, ‘আমার মনে হয় পাকিস্তানকে কোচিং করানো মানে এই অঙ্গনে বিশ্বের শীর্ষ চার-পাঁচে থাকা। বিশ্বের সেরা কিছু ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাবটি আমার জন্য আসলেই লোভনীয় ছিল।’
যদিও কারস্টেন স্বীকার করে নিয়েছেন এর আগে পাকিস্তানের সাদা বলের ক্রিকেট খুব একটা অনুসরণ করেননি তিনি। তবে বিভিন্ন টুর্নামেন্টের মাধ্যমে কিছু খেলোয়াড়কে ভালোভাবেই চিনতেন তিনি।
পাকিস্তানের ক্রিকেট অনুসরণ করা প্রসঙ্গে ভারতের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী এই কোচ বলেন, ‘সত্যি বলতে খুব নিবিড়ভাবে নয়। মানে, অবশ্যই আমি গত বছরের বিশ্বকাপে অনেক ম্যাচ দেখেছি। পাকিস্তান সুপার লিগও (পিএসএল) দেখেছি, যা দক্ষিণ আফ্রিকায় ভালো সময়ে হতো। সেখানে তখন সন্ধ্যা, আর আমরা কাজ থেকে ফিরেই টিভি চালাই এবং সেখানে পিএসএল চলত। তাই আমি বেশিরভাগ খেলোয়াড়কেই চিনি কারণ তারা সব জায়গায়ই খেলে।’
বাবর আজম, শাহিন আফ্রিদিসহ পরিচিত পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করার জন্যও মুখিয়ে আছেন কারস্টেন, ‘আমরা পাকিস্তানে আমাদের সেরা খেলোয়াড়দের খুঁজে বের করছি এবং তাদের সঙ্গে কাজ করছি। আপনি মূল খেলোয়াড়দের চেনেন-বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফ। এসব খেলোয়াড়রা দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় দলের সঙ্গে আছে। আমি তাদেরকে নিজেদের সেরা সংস্করণ হতে কীভাবে সাহায্য করতে পারি, সেটিই দেখতে চাই।’
পাকিস্তানে নিজের অভিজ্ঞতার কথাও বর্ণনা করেছেন কারস্টেন, ‘আমি কখনোই পাকিস্তানে অস্বস্তি বোধ করিনি। সবসময়েই উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি। এখানে ক্রিকেট ছিল দারুণ প্রতিযোগিতাপূর্ণ এবং বিশ্বের সেরা কিছু পেস বোলারদের (ওয়াকার ইউনিস, ওয়াসিম আকরাম ও শোয়েব আখতার) মুখোমুখি হতে হতো।’