প্রদীপ-গোলাপের আয় বেশি, শিক্ষায় এগিয়ে রতন-রিপা
প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এলাকা হিসেবে পরিচিত ‘দিরাই’ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন। আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ করা হবে। এ উপজেলার মোট ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ২২৫ জন। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীরা হলেনÑ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় (দোয়াত-কলম প্রতীক), জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজাদুল ইসলাম রতন (মোটরসাইকেল প্রতীক), উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন কুমার রায় (ঘোড়া প্রতীক), উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রিপা সিনহা (টেলিফোন প্রতীক) ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গোলাপ মিয়া (আনারস প্রতীক)।
প্রার্থীদের হলফনামা থেকে জানা গেছে, পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে আয় বেশি প্রদীপ রায় ও মোহাম্মদ গোলাপ মিয়ার। শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি অ্যাডভোকেট রিপা সিনহা ও অ্যাডভোকেট আজাদুল ইসলাম রতনের। তবে সবার চেয়ে সম্পদও বেশি অ্যাডভোকেট রিপা সিনহার।
প্রদীপ রায় হলফনামায় উল্লেখ করেন, তিনি অষ্টম শ্রেণি পাস, পেশা ব্যবসা। বছরে আয় ৭ লাখ ৫০ টাকা। অস্থাবর সম্পদ রয়েছে নগদ ৭৫ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৮ লাখ ৫০ হাজার ২৩১ টাকা। একটি সেডান কার রয়েছে, যার মূল্য ৮ লাখ টাকা। টিভি ও ফ্রিজের মূল্য ৭০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৯০ হাজার টাকা। স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ নগদ টাকা ৩০ হাজার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১ লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার (অর্জনকালীন মূল্য) ২ লাখ টাকা। প্রদীপের স্থাবর সম্পদ কৃষিজমি ২৫ হাজার টাকার ০.৪৪ একর ও ৪৪ হাজার টাকার ৪.৭৫ একর, ৬ লাখ টাকার ২টি আবাসিক ও ১টি বাণিজ্যিক ভবনের তিন অংশের এক অংশ।
আরও পড়ুন:
আকতার পারভেজ সর্বোচ্চ ভোটে সিএসই পরিচালক
অ্যাডভোকেট আজাদুল ইসলাম রতনের বছরে আয়- ব্যবসার পুঁজি ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা; আইন পেশা থেকে আয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এপিপির সম্মানী ভাতা ৯৬ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ- নগদ টাকা ২ লাখ, ৩ ভরি স্বর্ণালংকার ১ লাখ টাকা, টিভি ও ফ্রিজ ১ লাখ ও আসবাবপত্র ৫০ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার (অর্জনকালীন মূল্য) ৩ লাখ টাকা।
রঞ্জন কুমার রায় এইচএসসি পাস, তার পেশা ব্যবসা। বছরে আয় কৃষি খাতে ৮০ হাজার ও ব্যবসায় ৯০ হাজার টাকা। নিজের অস্থাবর সম্পদÑ নগদ টাকা ১ লাখ ৫০ হাজার। টিভি ও ফ্রিজ ১ লাখ ও আসবাবপত্র ১ লাখ টাকার। স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ ৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার (অর্জনকালীন মূল্য) ৪ লাখ টাকা। স্থাবর সম্পদ ১২ কেদার কৃষিজমি ও ১টি বাড়ির সাত অংশের এক অংশ।
আরও পড়ুন:
বৃহত্তম হিমশৈল
অ্যাডভোকেট রিপা সিনহার বছরে আয় সঞ্চয়পত্রে ১ লাখ ৮০০ টাকা। আইন পেশা থেকে আয় ৬০ হাজার টাকা। ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানী ভাতা ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা। তার অস্থাবর সম্পদ- নগদ টাকা ৯ লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্র ১৫ লাখ টাকা, বিয়ের উপহার ২১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার। টিভি, ফ্রিজ, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার ২ লাখ ও আসবাবপত্র ২ লাখ টাকার। রিপার স্বামীর অস্থাবর সম্পদ নগদ ৪ লাখ ৫১ হাজার ৪৮৭ টাকা, জিপিএফ ১০ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪১ টাকা, বিয়ের উপহার ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার। স্থাবর সম্পদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকার ২ শতক কৃষিজমি ও ২ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা ৭ শতক অকৃষিজমি। একই পরিমাণ অস্থাবর সম্পদ রয়েছে তার স্বামীর।
মোহাম্মদ গোলাপ মিয়া বিএ পাস, পেশা ব্যবসা। বছরে আয় মসলা মিল থেকে ৪ লাখ ১০ হাজার ও অন্যান্য খাত থেকে ৩ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদ- নগদ টাকা ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৮৯ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র ও স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯৬৯ টাকা, বিয়ের উপহার দেড় ভরি স্বর্ণালঙ্কার ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। টিভি, ফ্রিজ, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার ৮০ হাজার টাকা ও আসবাবপত্র ১ লাখ টাকা, অন্যান্য সম্পদ ৭ লাখ ২৬ হাজার ৬৮৩ টাকার। স্থাবর সম্পদ সাড়ে ৫ লাখ টাকার ৬ শতক কৃষিজমি ও ৪ লাখ ৪০ হাজার ২ শতক অকৃষিজমি রয়েছে গোলাপ মিয়ার।
আরও পড়ুন:
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম