এবার প্রিমিয়ার লিগে খেলবে ফকিরেরপুল, সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত
এবারের বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইয়াংমেন্স ক্লাব ফকিরেরপুল। ফলে আবারও দেশের ফুটবলের শীর্ষ স্তরের ফুটবল লিগ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে উত্তীর্ণ হয়েছে দলটি। দেশের ফুটবলের দ্বিতীয় স্তরের ফুটবল লিগ হলো ‘চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ’। এই টুর্নামেন্ট থেকে দুটি দল (চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল) প্রিমিয়ার লিগে উত্তীর্ণ হয়।
এর আগে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের শিরোপা জিতে প্রিমিয়ার লিগে উঠেছিল ফকিরেরপুল। কিন্তু সেবার অর্থাভাবে দেশের ফুটবলের শীর্ষ লিগে খেলতে পারেনি তারা। তবে এবার প্রিমিয়ার লিগে খেলবেই ক্লাবটি, এমন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
ইয়াংমেন্স ক্লাব ফকিরেরপুলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাইনু আমাদের সময়কে মুঠোফোনে বলেছেন, ‘এবার আমার প্রিমিয়ার লিগে খেলবই। এর আগে আমরা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে পেশাদার লিগে খেলতে পারিনি। এবার যেভাবেই হোক আমরা লিগে খেলার চেষ্টা করব।’
এক সময় প্রিমিয়ার লিগ ‘বি’ লিগ হিসেবেই পরিচিত ছিল। ২০০৯ সালে ‘বি’ লিগের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) করা হয়। পেশাদার লিগের আগে আশি ও নব্বইয়ের দশকে ফকিরেরপুল প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলেছে। সে সময় প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগ ছিল। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ ছিল না।
দেশের ফুটবলের সোনালি সময়ে ফকিরেরপুলের সুখ্যাতি ছিল। দলটি ‘জায়ান্ট কিলার’ খেতাব পায়। সে সময় আবাহনী, মোহামেডানের মতো দলগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিত। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় ইয়াংমেন্স ক্লাব ফকিরেরপুল প্রিমিয়ার লিগ থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন পর আবারও প্রিমিয়ার লিগে উঠায় খুবই উচ্ছ্বসিত ক্লাবটির খেলোয়াড়, কর্মকর্তারা।
মাইনু বলেন, ‘আমাদের ক্লাবটি পাড়া ভিত্তিক ক্লাব। কিছু ব্যবসায়ী ও বড় ভাই আছেন, তারা ক্লাব পরিচালনার জন্য অর্থ দেন। কিন্তু ক্যাসিনোর ঘটনায় আমাদের ক্লাবের ইমেজ নষ্ট হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি ঘুরে দাঁড়ানোর। আশা করি, এবার আমরা প্রিমিয়ার লিগের জন্য একটি দল গঠন করব। যেহেতু চ্যাম্পিয়ন হয়েছি আমরা, যেভাবেই হোক আমরা লিগে খেলব। এটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে যে দল নিয়ে খেলেছে ফকিরেরপুল, সেই দলটির বেশির ভাগ খেলোয়াড় প্রিমিয়ার লিগের দলেও থাকবেন। দলে বিদেশি খেলোয়াড় যোগ হবেন। আরও কয়েকজন খেলোয়াড়কে নেওয়া হতে পারে।
ফকিরেরপুল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাইনু আরও জানান, এবারের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোল করেছেন রাফায়েল টুডো। ১৩ গোল করেছেন তিনি। দলের প্রাণ এই সাঁওতাল ফুটবলার। এ ছাড়া তাদের গোলরক্ষকও বড় ভূমিকা রেখেছেন।
এখন প্রিমিয়ার লিগ ঘিরেই সব চিন্তা-ভাবনা ফকিরেরপুলের। দীর্ঘ দিন পর আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে এই দলটিকে আবারও দেখা যাবে এই প্রত্যাশায় দর্শকরা।