ঘুরে দাঁড়ানো জয়ে শেষ চারে ডর্টমুন্ড
চ্যাম্পিয়নস লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৪-২ গোলে হারাল বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। যেখানে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলের অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালে পা রাখল বুন্ডেসলিগার দলটি। দীর্ঘ ১১ বছর পর ইউরোপ সেরার আসরটির শেষ চারে জায়গা করে নিল তারা।
এদিন প্রতিপক্ষের মাঠে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ২ গোল শোধ করে ম্যাচ জমিয়ে তুলল আতলেতিকো। কিন্তু চার মিনিটের মধ্যে দুটি গোল করে ফের ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। স্বাগতিকদের হয়ে জোড়া গোল করেছেন মার্সেল সাবিৎজার, একটি করে ইয়ান মাটসেন ও নিকলাস ফুলক্রুগ। আতলেতিকোর একটি গোল করেন আনহেল কোররেয়া, অন্যটি আত্মঘাতী।
এর আগে ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় প্রথম লেগে ২-১ গোলে হেরেছিল ডর্টমুন্ড।
আতলেতিকোকে বেশ চাপে রাখা ডর্টমুন্ড এগিয়ে যায় ৩৪তম মিনিটে। মাটস হুমেলসের উঁচু করে বাড়ানো বল ডি বক্সে পেয়ে যান ইউলিয়ান ব্র্যান্ডট। সামনে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় থাকলেও তাদের মাঝ দিয়েই জাল খুঁজে দেন জার্মান মিডফিল্ডার। পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মাটসেন। সাবিৎজারের কাছ থেকে বল পেয়ে দূরের পোস্ট ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে নেন ডাচ ডিফেন্ডার। পরে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ডর্টমুন্ড।
ডর্টমুন্ডের আত্মঘাতী গোলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ঘুচে যায় ওই ব্যবধান। ৪৯তম মিনিটে কর্নার থেকে মারিও এরমোসোর হেড ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই পাঠিয়ে দেন হুমেলস।
৫৪তম মিনিটে খুব কাছে থেকেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি কোররেয়া। ১০ মিনিট পর আর ব্যর্থ হননি তিনি। মোরাতার জায়গায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি নামা আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সমতা ফেরান ম্যাচে।
আতলেতিকোর রক্ষণের পরীক্ষা নেওয়া ডর্টমুন্ড ফের এগিয়ে যায় ৭১তম মিনিটে। চমৎকার হেডে ইয়ান ওবলাককে পরাস্ত করেন ফুলক্রুগ। তিন মিনিট পরেই নিজের দ্বিতীয় গোলে স্কোর লাইন ৪-২ করে ফেলেন সাবিৎজার। ডি বক্সের মাথায় বল পেয়ে আড়াআড়ি শটে জালে খুঁজে নেন অস্ট্রিয়ান মিডফিল্ডার। কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষকের।
ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ডর্টমুন্ডের প্রতিপক্ষ ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। এদিনই আরেক কোয়ার্টার-ফাইনালে বার্সেলোনাকে হারিয়েছে লুইস এনরিকের দল।