ভারতীয় ব্যাটারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ
ভারতীয় ক্রিকেটার পৃথ্বী শ’র বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুম্বাইয়ের একটি আদালত। দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনফ্লুয়েন্সার স্বপ্না গিল ২০২৩ সালে পৃথ্বীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছিলেন।
বার্তা সংস্থা পিটিআই এ নিয়ে জানিয়েছে, মুম্বাইয়ের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস সি তাইদে ১৯ জুনের মধ্যে পুলিশকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে পৃথ্বীর বিরুদ্ধে এফআইআর না নেওয়ার অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছিলেন স্বপ্না গিল। তবে সেটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। যদিও ২৪ বছর বয়সী পৃথ্বী শ তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির এই অভিযোগ শুরু থেকেই প্রত্যাখান করে আসছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ জানিয়েছিল, ব্যবসায়ী বন্ধু আশিস যাদবকে নিয়ে খেতে বের হয়েছিলেন পৃথ্বী। হোটেলে ঢোকার আগে এক অপরিচিত ব্যক্তি তার সঙ্গে সেলফি তুলতে চান। মামলার অভিযোগে বলা হয়, তার অনুরোধ রক্ষা করে একবার সেলফি তোলেন পৃথ্বী। এরপর আরও সেলফি তুলতে চাইলে রাজি হননি এই ভারতীয় ওপেনার। এরপর পৃথ্বী ও তার বন্ধুদের ওপর আক্রমণের অভিযোগ ওঠে স্বপ্না গিলের বিরুদ্ধে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে আটকও করা হয় তাকে। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে পৃথ্বীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন স্বপ্না।
স্বপ্না গিল আইপিসি দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৫০৯ ও ৩২৪ ধারা অনুযায়ী অভিযোগ করেছিলেন। যেখানে ৩৫৪ নম্বর ধারা শ্লীলতাহানিবিষয়ক, ৫০৯ নম্বর ধারা নারীর ভদ্র আচরণের প্রেক্ষিতে ভাষাগত ও আচরণগত আক্রমণ ও অপমানবিষয়ক এবং ৩২৪ নম্বর ধারায় বিপজ্জনক অস্ত্র দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণের ব্যাপারে বিধান রয়েছে। পৃথ্বী ও আশিস যাদবের বিরুদ্ধে ব্যাট দিয়ে পেটানোর অভিযোগও করেছিলেন স্বপ্না গিল।
এদিকে পুলিশ এফআইএর নেয়নি, এই দাবিতে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথ্বীর বিরুদ্ধে মামলা করতে গিয়েছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ জানিয়েছে, পৃথ্বী শর বিরুদ্ধে গিলের অভিযোগ ‘মিথ্যা এবং কোনো প্রমাণ মেলেনি’—আদালতের কাছে এই দাবি করেছে পুলিশ। ঘটনার সময় স্বপ্না গিল মাতাল ছিলেন বলেও আদালতের কাছে দাবি করেছে পুলিশ।
