বিমান টিকিটের চড়া দাম

তাওহীদুল ইসলাম
০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
বিমান টিকিটের চড়া দাম

ট্রেনের টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে গত শনিবার। নেই বাসের টিকিটও। বিমানের টিকিটও ফুরিয়ে যাচ্ছে। কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। চাহিদা বাড়ায় ইতোমধ্যে ফ্লাইট বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আর লঞ্চের টিকিট আগামীকাল থেকে বিক্রির কথা রয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, আগামী ৪ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রুটে অতিরিক্ত ৯টি (যাওয়া-আসা মিলে ১৮টি) ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এয়ারলাইন্সটির মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার গতকাল জানান- সৈয়দপুর, রাজশাহী, যশোর ও বরিশাল রুটে এসব অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এ ছাড়া সিলেট ও চট্টগ্রাম রুটের যাত্রীরা বিমানের বড় আকারের উড়োজাহাজে ভ্রমণ করতে পারবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ বিমান, ইউএস বাংলা, নভো এয়ার ও এয়ার অ্যাস্ট্রা যাত্রী পরিবহন করছে। এর মধ্যে অন্তত ৮০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছে। বেশি চাহিদা ৭, ৮ ও ৯ এপ্রিলের টিকিটের। তুলনামূলক বেশি অবিক্রীত আছে চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটের ফ্লাইটের টিকিট। তবে দাম সাধারণ সময়ের চেয়ে বেশি। এই রুটের ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকার টিকিট এখন কিনতে খরচ হবে সাড়ে ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা। চাহিদা বেশি থাকায় সৈয়দপুর ও রাজশাহীর টিকিটের দাম তুলনামূলক বেশি। ঢাকা থেকে সৈয়দপুর কমপক্ষে সাড়ে ৬ হাজার টাকা ভাড়া। ঈদের আগে এই ভাড়া দাঁড়াবে সাড়ে ৮ থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত। এয়ার অ্যাস্ট্রা, নভো এয়ার, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ইউএস বাংলার টিকিটের দাম কমবেশি সাড়ে ৬ থেকে ৯ হাজারের মধ্যে। সাধারণ সময়ে এই গন্তব্যে টিকিটের দাম ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজারের মধ্যেই থাকে। ঢাকা থেকে রাজশাহীর ৭ এপ্রিলের টিকিটের সর্বনিম্ন ভাড়া সাড়ে ৬ হাজার। পরদিন ৮ এপ্রিলের ভাড়া সর্বনিম্ন সাড়ে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা। কোনো উড়োজাহাজ সংস্থারই এদিনের রাজশাহী রুটের টিকিট খুব বেশি অবিক্রীত নেই।

ইউএস বাংলার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, ২৫ রোজার পর টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ঈদের পর ঢাকায় ফেরার টিকিটও বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। সৈয়দপুর, রাজশাহী ও যশোর রুটে চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ৬০ থেকে ৬৫টি ফ্লাইট আসা-যাওয়া করছে প্রতিদিন। ফ্লাইট বাড়ানোরও পরিকল্পনা আছে।

এদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় লঞ্চ চলাচল করে। এখনো সেই অর্থে লঞ্চের কেবিনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়নি। অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাপ) সংস্থার সদরঘাট

স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক মামুন অর রশিদ বলেন, ঈদে লঞ্চে আগের মতো যাত্রী নেই। এখন গার্মেন্ট ছুটি হলে যাত্রী মিলতে পারে।

অন্যদিকে ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ চালু করতে গতকাল বৈঠক করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের সভা কক্ষে বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সিদ্ধান্ত হয়- ঢাকা শহরে ৫০টি গাড়ি রেখে বাকি সব গাড়ি ঈদ সার্ভিসের জন্য ব্যবহার হবে। আগামীকাল ২ এপ্রিল থেকে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করবে বিআরটিসি। ৫ এপ্রিল থেকে ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের আয়োজন করেছে সংস্থাটি।

এবারের ঈদযাত্রা নিয়ে ৬ সদস্য করে দুটি ভাগে ভিজিল্যান্স টিম গঠন করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ৩ জন করে ৬ জনকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঢাকা কমলাপুর স্টেশন ও বিমানবন্দর স্টেশনে তারা ঈদযাত্রা, টিকিট বিক্রিসহ যাবতীয় কার্যক্রম তদারকি করবেন।