আইসিসির এলিট প্যানেলে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার সৈকত

স্পোর্টস ডেস্ক
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩১
শেয়ার :
আইসিসির এলিট প্যানেলে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার সৈকত

বাংলাদেশের ক্রিকেটে তৈরি হলো নতুন ইতিহাস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) এলিট প্যানেলে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। আজ বৃহস্পতিবার আইসিসির বার্ষিক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সৈকত ২০০৬ সাল থেকেই আন্তর্জাতিক প্যানেলের রেফারি। ২০১০ সালে মিরপুরে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক ঘটে তার। এখনো পর্যন্ত ১০টি টেস্ট ম্যাচ, ৬৩টি ওয়ানডে ও ৪৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন তিনি। এছাড়াও ১৩টি নারী ওয়ানডে ও ২৮টি নারী টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারিং করার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশি এই আম্পায়ারের। 

২০১৭ ও ২০২১ সালের নারী বিশ্বকাপ, ২০২৩ সালের পুরুষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০১৮ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করেছেন সৈকত। 

এলিট প্যানেলে ঢুকতে পেরে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সৈকত, ‘আইসিসির এলিট প্যানেলে নিজের নাম দেখা দারুণ সম্মানের। প্যানেলে প্রথম বাংলাদেশি হওয়া এটিকে আরও বিশেষ করেছে এবং আমার ওপর যেই বিশ্বাস রাখা হয়েছে সেটি পূরণে উন্মূখ হয়ে আছি আমি। বিগত বছরগুলোতে আমার কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং আমি আরও চ্যালেঞ্জিং কাজগুলোর জন্য তৈরি।’

সৈকত আরও বলেন, ‘আইসিসি ও বিসিবিকে সমর্থন দেওয়ার জন্য এবং আমার সহকর্মীদের সাহায্য ও দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাশে থেকে সমর্থন দেওয়ার জন্য পরিবার ও বন্ধুদেরও ধন্যবাদ।

এদিকে, আইসিসির এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারির সংখ্যা সাত থেকে কমিয়ে ছয়ে আনা হয়েছে। ২০২৪-২৫ মৌসুমে রাখা হয়নি ক্রিস ব্রডকে। ২০০৩ সাল থেকে এই প্যানেলে ছিলেন তিনি। ১২৩টি টেস্ট ম্যাচ, ৩৬১ ওয়ানডে ম্যাচ ও ১৩৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রেফারি ছিলেন তিনি। এছাড়াও ১৫টি নারী টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন ব্রড। তার দায়িত্ব ছিল চারটি পুরুষ ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ, চারটি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও দুইটি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। 

আইসিসি এলিট প্যানেল অব ম্যাচ রেফারি: ডেভিড বুন (অস্ট্রেলিয়া), জেফ ক্রো (নিউজিল্যান্ড), রঞ্জন মাদুগালে (শ্রীলঙ্কা), অ্যান্ড্রু পাইক্রফট (জিম্বাবুয়ে), রিচি রিচার্ডসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), জাভাগাল শ্রীনাথ (ভারত)।

আইসিসি এলিট প্যানেল অফ আম্পায়ার: কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), ক্রিস্টোফার গ্যাফানি (নিউজিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটলবরো (ইংল্যান্ড), নিতিন মেনন (ভারত), আহসান রাজা (পাকিস্তান), পল রেইফেল (অস্ট্রেলিয়া), শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত (বাংলাদেশ), রডনি টাকার (অস্ট্রেলিয়া) ও জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।