শেষ বিকেলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
২২ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৯
শেয়ার :
শেষ বিকেলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

শ্রীলংকার বিপক্ষে ২ ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে নেমে শুরুতেই দাপট দেখায় বাংলাদেশ। প্রথম সেশনেই ৫ উইকেট তুলে নেন খালেদ আহমেদ-শরিফুল ইসলামরা। তবে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্ডু মেন্ডিসের দুর্দান্ত জুটিতে দ্বিতীয় সেশন নিজেদের করে নেয় লংকানরা। তৃতীয় সেশনের শুরুতে সেঞ্চুরি করে ফেরেন ধনাঞ্জয়া ও কামিন্ডু। শেষ ৫ উইকেট মাত্র ২১ রানের মধ্যে হারিয়ে ২৮০ রানেই অলআউট হয় তারা। যার জবাব দিতে নেমে ৩২ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। 

শ্রীলংকার ২৮০ রানের লক্ষ্য অতিক্রম করতে নেমে দলীয় ১১ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন জাকির হোসেন। রিভিও নিয়েও বাঁচতে পারেননি এই ওপেনার। দলের রান যখন ১৭, তখন ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। ফার্নান্দোর বলেই একইভাবে আউট হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দুই অঙ্কের রান ছুঁতে পারেননি মুমিনুল হকও। কাসুন রাজিথার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক। এরপর নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা তাইজুল ইসলামকে নিয়েই দিনের বাকি অংশটুকু পার করেন তাইজুল ইসলাম। 

এর আগে, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিং করে শ্রীলংকা। তাদের ইনিংস শেষ হয়েছে পতন-উত্থান-পতনের মাধ্যমে। এদিন প্রথম ৫৭ রান তুলতেই এদিন দলটি হারিয়েছে ৫ উইকেট। ষষ্ঠ উইকেটে ২০২ রানের জুটি গড়ে দ্বিতীয় পর্যায় নিজেদের করে নেয় লংকানরা। তবে অভিষিক্ত পেসার নাহিদ রানার তোপে দলটি শেষ ৫ উইকেট হারায় মাত্র ২১ রানের মধ্যে।

শুরুর দিকে খালেদের পেস বল বুঝে উঠতে পারেনি তারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে নিশান মাদুশকাকে ফেরান তিনি। এরপর দ্বাদশ ওভারে তুলে নেন জোড়া উইকেট। ওভারের দ্বিতীয় বলে কুশল মেন্ডিসকে ফেরান। আর ষষ্ঠ বলে আরেক সেট ব্যাটার দিমুথ করুণারত্নেকে বোল্ড করেন খালেদ।

এরপর খালেদের করা চতুর্দশ ওভারে আবারও আসে উইকেট। ওভারের চতুর্থ বল অফ সাইডে ঠেলে দিয়ে দিনেশ চান্দিমাল রান নিতে কল করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্তর থ্রো ম্যাথুজ পৌঁছানোর আগেই উইকেট ভেঙে দেয়। শ্রীলংকা ৪৭ রানেই চতুর্থ উইকেট হারায়। ৫৭ রানের মাথায় শরিফুল ইসলামের বলে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে ফেরেন দিনেশ চান্ডিমাল। এরপরই জুটি গড়েন ধনাঞ্জয়া ও কামিন্ডু। প্রথম সেশনে ওই ৫ উইকেট হারিয়েই ৯২ রান করে লংকানরা।

প্রথম সেশন নিজেদের করে নিলেও দ্বিতীয় সেশনে চূড়ান্ত ব্যর্থ বাংলাদেশ। এই সেশনে একটি উইকেটও নিতে পারেননি খালেদ আহমেদ-শরিফুল ইসলামরা। ধনাঞ্জয়া ও কামিন্ডুর ব্যাটে হতাশ হতে হয় নাহিদ রানাদের। তাতে ৫ উইকেট হারানো শ্রীলংকার রান গিয়ে ঠেকে ২১৭-তে।

চা বিরতির পরও সাবলীল খেলতে থাকেন ধনাঞ্জয়া ও কামিন্ডু। অবশেষে ২৫৯ রানের মাথায় জুটি ভাঙতে সক্ষম হন রানা। কামিন্ডুকে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি। অবশ্য ততক্ষণে সেঞ্চুরি আদায় করে ফেলেছেন কামিন্ডু। ১১৭ বলে ১১টি চার ও ৩ ছক্কায় ১০২ রান করেন তিনি। তবে সেখানেই থেমে থাকেনি রানার ঝলক। দলের সঙ্গে আর ৫ রান যোগ হতে তিনি ফেরান ধনাঞ্জায়াকেও। কামিন্ডুর সমান ১০২ রানের ইনিংস খেলেছেন লংকান অধিনায়কও। ২৬৫ রানের মাথায় প্রভাত জয়াসুরিয়াকেও ফেরান রানা। দ্রুত ৩ উইকেট নিয়ে উজ্জীবিত করেন বাংলাদেশ শিবিরকে। 

শেষের দিকে উইকেটের খাতা খোলোন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামও। শ্রীলংকার নবম ব্যাটার হিসেবে বিশ্ব ফার্নান্ডো ফেরেন তাইজুলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। আর শেষ ব্যাটার হিসেবে রান আউট হন লাহিরু কুমারা। তাতে ৬৮ ওভারে ২৮০ রানেই থামে লংকানদের প্রথম ইনিংস।