‘টাইমড আউট’ উদযাপনের পর কী থাকছে, যা বললেন ধনাঞ্জয়া
ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান কিংবা অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের লড়াই নিয়ে থাকে তুমুল উত্তেজনা। কম যায় না হাল আমলের বাংলাদেশ-শ্রীলংকা লড়াইও। নিদাহাস ট্রফি থেকে এই প্রতিদ্বন্দিতা প্রকাশ্যেই দেখা যাচ্ছে। গত বছরের ভারত বিশ্বকাপে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ‘টাইমড আউট’ নিয়েও হয়েছে বিস্তর কথার লড়াই। ঝাঁঝালো প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছাপ দেখা গেছে চলমান বাংলাদেশ-শ্রীলংকা সিরিজেও।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে হাতে ঘড়ি দেখিয়ে ‘টাইমড আউট’ উদযাপন করেছিল লংকানরা। ওয়ানডে সিরিজ জিতে প্রতিশোধ নেয় বাংলাদেশ। ট্রফি নিয়ে উদযাপনের আগে মুশফিকুর রহিম হেলমেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে ব্যঙ্গও করেন।
টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডের লড়াই শেষে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা এখন প্রস্তুত দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে লড়তে। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন টেস্টে লংকান অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ‘টাইমড আউট’ ডার্বির পরে নতুন কিছু থাকছে কি না। হাসতে হাসতে উত্তরে তখন ধনাঞ্জয়া বললেন, ‘যদি আমরা জিতি, তারপর আপনি দেখতে পাবেন।’
ধনাঞ্জয়ার কাছে জানতে চাওয়া হয় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা প্রসঙ্গেও। টেস্ট থেকে অবসর নেওয়া হাসারাঙ্গা বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সিরিজের আগে অবসর ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। তার পরদিনই তাকে এই দুই ম্যাচে নিষিদ্ধ করে আইসিসি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে শেষ ম্যাচে আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণের দায়ে শাস্তি পান হাসারাঙ্গা। ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানাসহ তার নামের পাশে যুক্ত হয় ডিমেরিট পয়েন্ট। এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও আম্পায়ারের সঙ্গে সমালোচনা করে শাস্তি পেয়েছিলেন তিনি।
২ বছরের মধ্যে ৮টি ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ায় ২টি টেস্ট বা ৪টি ওয়ানডে বা ৪টি টি-টোয়েন্টিতে নিষিদ্ধ হন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুইটি টেস্ট ম্যাচের সিরিজ থাকায় এই সিরিজে নিষিদ্ধ হন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আর কোনো ম্যাচ নেই শ্রীলংকার। তাই কেউ কেউ বলছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচে উপস্থিত থাকার জন্য টেস্টে অবসর ভাঙার নাটক করেছেন হাসারাঙ্গা। স্বাভাবিকভাবেই তিনি জানতেন নিষিদ্ধ হবেন তিনি।
এ ব্যাপারে ধনাঞ্জায়া বলেন, ‘আসলে তথ্যটা ভুল। হাসারাঙ্গা আমাদের চিঠি দিয়েছিল যে সে তার সিদ্ধান্ত বদলেছে, সে টেস্ট খেলতে চায়। চিঠিটা ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আছে। নির্বাচকেরা পরে চিন্তা করেছে তাকে টেস্ট সিরিজে দলে নেবে। এটা ওই ঘটনার (নিষেধাজ্ঞার) সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নয়।’