সৌম্যর ফিফটি আর হৃদয়ের শতক ছোঁয়া ইনিংসে বাংলাদেশের বড় পুঁজি

স্পোর্টস ডেস্ক
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:১১
শেয়ার :
সৌম্যর ফিফটি আর হৃদয়ের শতক ছোঁয়া ইনিংসে বাংলাদেশের বড় পুঁজি

শ্রীলংকার এবারের সফরে এই প্রথম টসে হারল বাংলাদেশ। অনুমিতভাবেই বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় লংকানরা। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে মিলিয়ে আগের চারটি ম্যাচে প্রথমে ফিল্ডিং করা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল ব্যাটিং দক্ষতা যাচাই করা। সেই চ্যালেঞ্জ নিতে গিয়ে শুরুতে লিটন ব্যর্থ হলেও ঝলক দেখিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত-সৌম্য সরকাররা। সবচেয়ে কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন চারে নামা তাওহীদ হৃদয়। শেষের দিকে তানজিম হাসান সাকিব-তাসকিন আহমেদদের নিয়ে দলকে এনে দিয়েছেন ২৮৬ রানের বড় সংগ্রহ। দলকে আগলে রেখে নিজে খেলেছেন অপরাজিত ৯৬ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস। 

আজ শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় ম্যাচটি শুরু হয়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায়। দিলশান মাদুশানকার বলে শটে থাকা দুনিথ ওয়েলালাগের কাছে শূন্য রানে ক্যাচ তুলে দেন লিটন দাস। তবে শুরুর বিপদ কাটিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে হাল ধরে টাইগাররা। দলীয় অষ্টম ওভারে অর্ধশতকের দেখা পায়। তবে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েও অর্ধশতকের দেখা পাননি আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শান্ত। ১৩তম ওভারে দলীয় ৭৫ রানের মাথায় দিলশান মাদুশানকার বলে উইকেটরক্ষক কুসল মেন্ডিসকে ক্যাচ দেন তিনি। বাংলাদেশ অধিনায়ক ৩৯ বলে ৬টি চারে ৪০ রান করেন।

শান্তর বিদায়ের পর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে চমৎকার জুটি গড়েন সৌম্য। তৃতীয় উইকেটে আসে ৫৫ রানের জুটি। দলীয় ১৩০ রানে ব্যক্তিগত ৬৮ রান করে বিদায় নেন সৌম্য। হাসারাঙ্গার বলে মাদুশঙ্কার বলে ক্যাচ দেন ৬৬ বলে ৬৮ করা এই বাঁহাতি ব্যাটার। দুই বল যেতে আবারও হাসারাঙ্গার আঘাত। গুগলি বল বুঝতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সামনে এগিয়ে খেলতে চাইলেও বল তাকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায় উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসের হাতে। গ্লাভস স্টাম্পে ছোঁয়াতে কোনো ভুল করেননি মেন্ডিস। 

দ্রুত ২ উইকেট হারালেও মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান হৃদয়। পঞ্চম উইকেটে এই দুজনের জুটি থেকে ৪৩ রান আসে। প্রথমে রয়েসয়ে খেললেও হাত খুলতে শুরু করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। তবে ১৭৩ রানের মাথায় হাসারাঙ্গার বলে এলবিডাব্লিউয়ের শিকার হন তিনি। সেখানেই ক্ষান্ত যাননি হাসরাঙ্গা। দলের সঙ্গে আর ১৬ রান যোগ হতে মেহেদী হাসান মিরাজকে সরাসরি বোল্ড করেন তিনি। আগের ম্যাচে উইকেটশূন্য এই লেগ স্পিনার ৪ উইকেট তুলে নিয়ে কঠিন বিপদে ফেলেন বাংলাদেশকে। 

১৮৯ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরে হৃদয় ও তানজিম হাসান সাকিবের জুটিতে। সপ্তম উইকেটে ৪৭ রানের জুটি গড়েন এই দুজন। ২৩৬ রানের মাথায় ফেরেন সাকিব (১৮)। নয়ে নেমে তাসকিনও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। আর হৃদয় তো আছেনই। এর মধ্যে হাসারাঙ্গার ওভারেই দুইটি ছক্কা মারেন হৃদয়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রানে থামে বাংলাদেশ। ১০২ বলে ৯৬ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। মাত্র ৩টি চারের বিপরীতে মারেন ৫টি ছক্কা। আরেক পাশে ১০ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন তাসকিন আহমেদ।