হাসারাঙ্গার স্পিনে দিশেহারা বাংলাদেশ
শুরুতে লিটন দাসের উইকেট গেলেও দারুণ প্রত্যাবর্তন করে বাংলাদেশ। ওভারপ্রতি প্রায় ৬ হারে রান তুলে টাইগররা যখন তিনশ ছাড়নোর স্বপ্ন দেখছে তখনই আঘাত হানেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। দ্রুত ৪ উইকেট তুলে নিয়ে দিশেহারা করে তোলেন বাংলাদেশের ব্যাটারদের। তাতে কমে আসে রানের গতি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪১ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ ২১১ রান। উইকেটে আছেন তাওহীদ হৃদয় (৫০*) ও তানজিম হাসান সাকিব।
আজ শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয়টিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় ম্যাচটি শুরু হয়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায়। দিলশান মাদুশানকার বলে শটে থাকা দুনিথ ওয়েলালাগের কাছে শূন্য রানে ক্যাচ তুলে দেন লিটন দাস। তবে শুরুর বিপদ কাটিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে হাল ধরে টাইগাররা। দলীয় অষ্টম ওভারে অর্ধশতকের দেখা পায়। তবে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েও অর্ধশতকের দেখা পাননি আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শান্ত। ১৩তম ওভারে দলীয় ৭৫ রানের মাথায় দিলশান মাদুশানকার বলে উইকেটরক্ষক কুসল মেন্ডিসকে ক্যাচ দেন তিনি। বাংলাদেশ অধিনায়ক ৩৯ বলে ৬টি চারে ৪০ রান করেন।
শান্তর বিদায়ের পর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে চমৎকার জুটি গড়েন সৌম্য। তৃতীয় উইকেটে আসে ৫৫ রানের জুটি। দলীয় ১৩০ রানে ব্যক্তিগত ৬৮ রান করে বিদায় নেন সৌম্য। হাসারাঙ্গার বলে মাদুশঙ্কার বলে ক্যাচ দেন ৬৬ বলে ৬৮ করা এই বাঁহাতি ব্যাটার। দুই বল যেতে আবারও হাসারাঙ্গার আঘাত। গুগলি বল বুঝতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সামনে এগিয়ে খেলতে চাইলেও বল তাকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায় উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসের হাতে। গ্লাভস স্টাম্পে ছোঁয়াতে কোনো ভুল করেননি মেন্ডিস।
দ্রুত ২ উইকেট হারালেও মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান হৃদয়। পঞ্চম উইকেটে এই দুজনের জুটি থেকে ৪৩ রান আসে। প্রথমে রয়েসয়ে খেললেও হাত খুলতে শুরু করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। তবে ১৭৩ রানের মাথায় হাসারাঙ্গার বলে এলবিডাব্লিউয়ের শিকার হন তিনি। সেখানেই ক্ষান্ত যাননি হাসরাঙ্গা। দলের সঙ্গে আর ১৬ রান যোগ হতে মেহেদী হাসান মিরাজকে সরাসরি বোল্ড করেন তিনি। আগের ম্যাচে উইকেটশূন্য এই লেগ স্পিনার ৪ উইকেট তুলে নিয়ে কঠিন বিপদে ফেলেন বাংলাদেশকে।