কুশলের পর লিয়ানাগের ফিফটি, লড়াকু পুঁজির পথে শ্রীলংকা
দুর্দান্ত শুরু করলেও তানজিম হাসান সাকিবের তোপে একশ রানের আগে ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল শ্রীলংকা। এরপর দারুণ ব্যাট করেন অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। ফিফটি করে তিনি আউট হলেও ছয়ে নামা জানিথ লিয়ানাগে ফিফটি করে এখনো মাঠে আছেন। তাতে লড়াকু পুঁজি গড়ার পথেই আছে লংকানরা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪৩ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২২৫ করেছে শ্রীলংকা। উইকেটে আছেন লিয়ানাগে (৫৪*) ও প্রমোদ মাদুশান।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লংকানরা এদিন প্রথম দলীয় ৫০ রান করে মাত্র ৪০ বলে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে না থাকলেও ওয়ানডেতে দলে ঢুকেই দারুণ সব টাইমিং করতে থাকেন নিশাঙ্কা। আর টি-টোয়েন্টি সিরিজে রান তুলতে ব্যর্থ আবিষ্কাও ছিলেন হাতখোলা। এই দুজনের ঝড় থামে দশম ওভারের পঞ্চম বলে, শ্রীলংকার রান তখন ৭১। তানজিম হাসান সাকিবের করা দ্বিতীয় ওভারে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দেন আবিষ্কা। ৩৩ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রান করে ফেরেন তিনি।
প্রথম দশ ওভারে ওই ১ উইকেট হারিয়েই ৭১ রান তোলে লংকানরা। নিজের তৃতীয় ওভারে আবারও সাকিবের আঘাত। এবার স্লিপে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানান নিশাঙ্কাকে। ২৮ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। সাকিব ‘শো’ সেখানেই শেষ হয়নি। নিজের করা চতুর্থ ওভারেও উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। দলীয় ১৪তম ওভারের প্রথম বলে নতুন নামা সাদিরা সামারাবিক্রামাকেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। উড়তে থাকা শ্রীলংকা হঠাৎ ৩ উইকেট হারিয়ে হয়ে পড়ে দিশেহারা।
চতুর্থ উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়েন কুশল ও লিয়ানাগে। এই দুজন বেশ ধীরগতিতে রান করেছেন। ১২৮ রানের মাথায় মিরাজের দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড হন আসালঙ্কা। এরপর কুশলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন লিয়ানাগে। তিনি ব্যাটিংয়ে নামার পরই চিত্র বদলে যায়। দারুণ স্ট্রাইকে রান তুলতে থাকেন তারা। ৬৮ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়ে ১৯৭ রানের মাথায় ফেরেন কুশল। ততক্ষণে হাফ সেঞ্চুরি হয়ে গেছে তার।
এরপরে উইকেটে নেমে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ২২১ রানের মাথায় তাসকিনের বলে ফেরেন এই তারকা। তবে আরেক পাশে দারুণ খেলতে থাকা লিয়ানাগে ঠিকই অপরাজিত থাকেন। ৭ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটি তৃতীয় ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন থিকসানাও।