পর্যটকদের হাতছানি দিচ্ছে দাওধারা গারো পাহাড়

এম. সুরুজ্জামান, নালিতাবাড়ী (শেরপুর)
০৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
পর্যটকদের হাতছানি দিচ্ছে দাওধারা গারো পাহাড়

দাওধারা গারো পাহাড়ের পরতে পরতে রয়েছে পর্যটনের নানা অনুষঙ্গ। এসব ব্যবহারের উপযোগী করে গড়ে উঠলে পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে। শেরপুর জেলায় যে দুটি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে, সেগুলোর চেয়ে এই পাহাড়টি আলাদা। উঁচু-নিচু লাল এই পাহাড়ের নয়নাভিরাম মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হাতছানি দেয় ভ্রমণপিপাসুদের। তাই স্থগিত হওয়া এই পর্যটনকেন্দ্রের উন্নয়নকাজ দ্রুত শুরু করার জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সরকারি নির্দেশনায় জেলার পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ ও রাজস্ব বাড়াতে নতুন বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে শেরপুর জেলা প্রশাসন। এরই প্রেক্ষিতে তৎকালীন নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের দাওধারা কাটাবাড়ি পাহাড়ি এলাকায় প্রায় ২২০.৭৭ একর বনভূমি নিয়ে নতুন একটি পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সে অনুযায়ী স্থান নির্বাচন করে গত বছর ৫ এপ্রিল তৎকালীন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার ওই স্থানে নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। একই সঙ্গে ওই পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তায় মাটি কাটার কাজ ও একটি গেট নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে এই দুই কর্মকর্তা বদলি হয়ে যান। এরপর থমকে যায় ওই পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়ন কাজ। স্থানীয় বাসিন্দা হারেজ আলী বলেন, এলাকার কর্মসংস্থানের কোনো সুযোগ নেই। দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্রটির উন্নয়ন সম্পন্নর হলে এখানকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

অপর বাসিন্দা রাশিদা বেগম বলেন, আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন থেকে লাকড়ি কুড়িয়ে বিক্রি করে কষ্ট করে সংসার চালাই। দাওধারা গারো পাহাড়ে যদি পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়, তাহলে আমরা অন্তত পানি বিক্রি করে হলেও সংসার চালাতে পারব। একই অভিমত স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন আলী, নুর মোহাম্মদ, বিশ^ কোচ ও নুরুল হকসহ অনেকের। তারা সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি, চিত্তবিনোদন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্রটির স্থগিত করা উন্নয়নকাজ দ্রুত শুরু করার দাবি জানান।

এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইলিশায় রিছিল বলেন, নতুন পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে। এরইমধ্যে কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। পরিবেশের সঙ্গে মিল রেখে বাকি কাজ করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।